আল জাওয়াহিরিকে তলোয়ার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে? কতটা ভয়ঙ্কর R9X Ninja Missile
আল জাওয়াহিরিকে তলোয়ার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে? কতটা ভয়ঙ্কর R9X Ninja Missile
R9X hellfire Ninja Missile: বড়সড় সাফল্য মার্কিন বাহিনীর। সাত সকালে একেবারে পরিকল্পনা করে খতম করা হল আল কায়দার ( Al queda) প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির (ayman al zawahiri)। মার্কিন ড্রোন হামলায় (Drone attack) বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসবাদী খতম করা হয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শেরপুর আপমার্কেট এলাকায় অবস্থিত একটি অত্যন্ত নিরাপদ বাংলোর বাসিন্দা ছিলেন জাওয়াহিরির। একেবারে পরিকল্পনা করে এই আঘাত হানা হয় বিধ্বংসী এক মিসাইল দিয়ে। কিন্তু জানেন কি কোন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আল-জাওয়াহিরিকে খতম করা হয়েছে। আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী R9X hellfire Ninja Missile কতটা ভয়ঙ্কর। সমস্ত বিষয়ে তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে-
বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর মিসাইল R9X Ninja Missile
একেবারে হাজার কিলোমিটার দূর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদ আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে পিন-পয়েন্ট টার্গেট করে নির্মূল করে আমেরিকা। আর এতেই স্পষ্ট আমেরিকার অস্ত্র ভান্ডার কতটা শক্তিশালী। সংবাদসংস্থা এএফপি'র রিপোর্ট অনুসারে আল-জাওয়াহিরি কাবুলে তার বাড়িতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে নিকেশ করা হয়। কিন্তু বিস্ফোরণের কোনই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি আমেরিকা জানিয়েছে এই আঘাতে অন্য কারোর কোনই লোকসান হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিআইএকে নাকি স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, এই অপারেশনটি এমনভাবে চালানো উচিত যাতে কোনো প্রাণহানি না হয়। সিআইএ ঠিক তাই করেছে। আর এতেই স্পষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আল জাওয়াহিরিকে খতম করতে হেলফায়ার R9X ব্যবহার করেছিল। R9X একটি ওয়ারহেডহীন ক্ষেপণাস্ত্র। শোনা যায়, এতে ছয়টি রেজারের মতো ব্লেড রয়েছে। এটি বিস্ফোরণ ছাড়াই তার লক্ষ্যকে ধ্বংস করে মুহূর্তের মধ্যে।
ক্ষেপণাস্ত্রের নাম 'নিনজা বোমা'
Hellfire R9X বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মিসাইল। এমনকি এটিকে নিনজা বোমাও বলা হয়ে থাকে। নাগরিকদের কিংবা ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিকে একেবারে পিন পয়েন্ট টার্গেট করে মারতে আমেরিকার অন্যতম পছন্দের হাতিয়ার এই মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় এবং অপ্রতিরোধ্য বৈশিষ্ট্য হল এটি যার উপর নিক্ষেপ করা হয়, তার চেয়ে বেশি জায়গায় ধ্বংসাত্মক ঘটায় না। এমনকি বিস্ফোরণও ঘটায় না। R9X প্রথমবার ২০১৭ সালে সামনে নিয়ে আসছিল। আল-কায়েদার অন্যতম জঙ্গিনেতা আবু আল-খায়ের আল-মাসরি সিরিয়ায় একটি গাড়িতে যাওয়ার সময় টার্গেট করা হয়েছিল। আর তা এই মিসাইল দিয়েই করা হয়েছিল।
হেলফায়ার R9X আসলে কি?
এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, AGM-114 হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র হল আকাশ থেকে ভূমি, লেজার-গাইডেড, সাবসনিক মিসাইল। এর মধ্যে এন্টি টেঙ্ক ক্ষমতাও রয়েছে। হেলফায়ার মিসাইল অনেক ধরণের হয়ে থাকে। যদিও এটি নির্ভর করে এর ওয়ারহেড, গাইডেন্স সিস্টেম এবং বিভিন্ন তারতম্যের উপর। হেলফায়ার মিসাইলের লাইনে সর্বশেষ সংযোজন হল হেলফায়ার R9X। এটি একেবারে টার্গেট করে মারার জন্যে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম অ্যাডভান্স হাতিয়ার হিসাবে মনে করা হচ্ছে। এই মিসাইলের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হল, এই মিসাইল যখন হামলা করে এতে বারুদ বের হয় না। এমনকি কোনও ধরণের বিস্ফোট পর্যন্ত হয় না। এই ক্ষেপণাস্ত্রে পপ-আউট সোর্ড ব্লেড ব্যবহার করা হয়। রিপোর্ট অনুসারে, এই মিসাইলে ছয়টি পপ আউট ব্লেড লাগানো রয়েছে। যা নাকি টার্গেট করে একেবারে দফারফা করে দেয়।
এক নজরে এই মিসাইলের ক্ষমতা-
রিপোর্ট অনুসারে, এই মিসাইলের ওভারহেডের ওজন মাত্র ৪৫ কিলোগ্রাম। এতে 8টি তলোয়ার ব্লেড এমনভাবে সেট করা হয়েছে যে এটি একই সঙ্গে ছয়টি ভিন্ন উপায়ে শত্রুকে আঘাত করে। আর মুহূর্তে'র মধ্যে দফারফা করে দেয়। যদিও এখনও স্পষ্ট নয় আমেরিকার অস্ত্র ভান্ডারে এমন মিসাইল আর কত রয়েছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবর অনুসারে, ২০১৯ এবং ২০২০ সালে দুটি সিক্রেট অপরেশনে এই মিসাইলের ব্যবহার ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এমন রিপোর্ট অনুসারে আফগানিস্তান ছাড়াও সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক ও লিবিয়াতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
লাদেন হত্যার অভিযানের ব্লু প্রিন্ট ব্যবহার হয় জাওয়াহিরি ক্ষেত্রে! কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল
প্রতীকী ছবি