জাভা সমুদ্রে ভেঙে পড়েছে এয়ার এশিয়ার সেই বিমান, আশঙ্কা
জাকার্তা ও সিঙ্গাপুর, ২৯ ডিসেম্বর: এয়ার এশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমানটি সম্ভবত ভেঙে পড়েছে সমুদ্রে। এমনই জানাল ইন্দোনেশিয়া। যদিও এ ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলে সরকারিভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ১৬২ জনকে নিয়ে মাঝ আকাশে উধাও এয়ার এশিয়ার বিমান
ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী সংস্থা 'সোয়েলিসতিও'-র কর্তাদের মতে, এয়ার এশিয়ার বিমানটি গতকাল সকালে যখন রেডারের সঙ্গে সংযোগ হারায়, তখন তা উড়ছিল সমুদ্রের ওপর দিয়ে। নিকটবর্তী স্থলভাগে তা ভেঙে পড়েছে বলে খবর নেই। তা হলে একমাত্র সমুদ্রেই সম্ভবত আছড়ে পড়েছে বিমানটি।
গতকাল এয়ার এশিয়ার উড়ান কিউ জেড-৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার সুরবায়া থেকে সিঙ্গাপুর রওনা হয়েছিল। সকাল সওয়া ছ'টা নাগাদ জাভা সমুদ্রের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় তা খারাপ আবহাওয়ায় পড়ে। পাইলট জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে অনুরোধ করেন, আরও ওপর দিয়ে উড়তে অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ ৩২ হাজার ফুট উঁচুতে তখন ছিল বিমানটি। বাদুলে মেঘ আর ঝোড়ো হাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছিল। পাইলট চেয়েছিলেন ৩৮ হাজার ফুট উঁচুতে মেঘের ওপর দিয়ে উড়তে। কিন্তু ওই সময় ৩৮ হাজার ফুট উঁচুতে একই এলাকা দিয়ে আরও কয়েকটি উড়ান যাচ্ছিল। তাই অনুমতি দিতে গড়িমসি করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। তার কিছুক্ষণ পরই রেডার থেকে হারিয়ে যায় বিমানটি।
সত্যিই যদি বিমানটি জাভা সমুদ্রে পড়ে যায়, তা হলে ১৬২ জনের কারও বাঁচার আশা নেই। যদিও প্রিয়জনের সেই পরিণতি মানতে চাইছেন না সিঙ্গাপুর বা সুরবায়া এয়ারপোর্টে অপেক্ষারত পরিজন। একটা ভালো খবরের আশায় বুক বেঁধে বসে আছেন সবাই।
প্রসঙ্গত, ঠিক একইভাবে কুয়ালালামপুর থেকে বেজিং যাওয়ার পথে হারিয়ে গিয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি উড়ান। ৮ মার্চ সেটিও সমুদ্রের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় হারিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। ওই উড়ানে ২৩৯ জন যাত্রী ছিলেন।