চিনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং ভারত সফরে আসতেই কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ইমরানের
চিরবন্ধু তথা সবসময়ের বিপদ-আপদের সঙ্গী বলে পরিচিত যে চিন - সেদেশের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দু দিনের ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে খোলামেলা বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন।
চিরবন্ধু তথা সবসময়ের বিপদ-আপদের সঙ্গী বলে পরিচিত যে চিন - সেদেশের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং দু'দিনের ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে খোলামেলা বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। দিন দুয়েক আগেই চিন সফরে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানিয়ে এসেছিলেন। তারপরে এদিন জিনপিংয়ের ভারত সফরের কথা মাথায় রেখেই ফের একবার কাশ্মীর নিয়ে সরব হলেন তিনি।
এবার হংকংয়ের সঙ্গে তুলনা টানলেন কাশ্মীরের। তাঁর অভিযোগ, বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলির দিকে। ইমরান খান বলেছেন, এটা দুর্ভাগ্যের যেভাবে সংবাদমাধ্যম হংকংয়ের বিক্ষোভকে নিয়ে ফলাও করে প্রচার করছে তা দেখা যাচ্ছে না কাশ্মীরের অচলাবস্থার বেলায়। অর্থাৎ ইমরানের অভিযোগ, কাশ্মীরের ইস্যুটিকে জেনে বুঝেই সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে যাচ্ছে।
ইমরান টুইটে লিখেছেন, আমি এটা দেখে হয়রান হয়ে গিয়েছি। যেভাবে বিদেশি সংবাদমাধ্যম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিতর্কিত এলাকা কাশ্মীর নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা এড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে নয় লক্ষ ভারতীয় সেনা ৮০ লক্ষ কাশ্মীরের উপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের আটকে রেখেছে।
[চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আবহে উঠে আসছে পল্লব রাজত্ব থেকে বোধিধর্মনের ইতিহাস]
এখন ঘটনা হল, ইমরান খান যতই ভারত-চিন বৈঠকের মাঝে কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে জলঘোলা করার চেষ্টা করুন, চিনের রাষ্ট্রপতি ভারত সফরে এসে কাশ্মীর নিয়ে কতটা মুখ খোলেন সেটা প্রশ্নের বিষয়। কারণ ইতিমধ্যে চিন একবার জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর ইস্যুটিকে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করার পক্ষপাতী তাঁরা। ফলে ভারত সফরে এসে চিনের রাষ্ট্রপতি জিনপিং কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের সমালোচনায় সরব হবেন এমনটা আশা করা অনুচিত হবে।