ফের আগ্রাসী চিন, সিকিম সীমান্তে স্থায়ী ক্যাম্প বানাচ্ছে লালফৌজ! সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত
ফের আগ্রাসী চিন, সিকিম সীমান্তে স্থায়ী ক্যাম্প বানাচ্ছে লালফৌজ! সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত
১০ বারের বেশি কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পর এখনও লাদাখে এখনও ফেরেনি স্থিতাবস্থা। অন্যদিকে লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তাজাকিস্তানের বৈঠকে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী। অন্যদিকে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এখনও পর্যন্ত চিনের তরফে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার না করা চাপ বাড়ছে নয়া দিল্লির উপরেও। এতাবস্থায় এবার চিনের চোখ সিকিম বর্ডারে।
ফের আগ্রাসন বাড়াচ্ছে চিন
সূত্রের খবর, প্রায় সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকাতেই আগের থেকে অনেকটাই আগ্রাসন বাড়িয়েছে চিন। এমনকী সিমেন্টের তৈরি পাকা ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। একাধিক এলাকা। সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি জরুরি ভিত্তি সেনা গতিবিধি বাড়াতেই চিনের এই তোড়জোড় বলে মত সমর বিশেষজ্ঞদের। এই ধরণেরই নতুন গতিবিধি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে উত্তর সিকিমের নাকুলা বর্ডারের কাছে।
নাকুলা বর্ডার থেকে সামান্য দূরেই তৈরি হচ্ছে স্থায়ী ক্যাম্প
নাকুলা বর্ডার থেকে কিছু কিলোমিটার দূরে চিনের তরফে এরকম একাধিক স্থায়ী ক্যাম্প বানানো হয়েছে বলে খবর। একই ধরণের ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সন্নিহিত অঞ্চলে। পাশাপাশি অরুণাচল বর্ডারের কাছেও এই ধরণের ক্যাম্পের হদিশ মিলেছে বলে খবর। এদিকে গত কয়েক বছরের সেনার ব্যবহারের জন্য পাহাড়ি রাস্তার পাশাপাশি সামগ্রিক সেনা কার্যক্রমের বিস্তর উন্নতি করেছে ভারত।
জরুরি অবস্থায় দুর্গম এলাকায় থাকতেই নয়া ব্যবস্থা
এমনকী বাজেটে সামরিক খাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমাণও অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। তার তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লাদাখ অরুণাচল সহ সিকিম সীমান্তের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে বরাবরই প্রবল ঠাণ্ডার মুখোমুখি হতে হয় দুই দেশের সেনাকেই। এমনকী সীমান্তবর্তী এলাকায় আসতে গেলে লালফৌজকে পেরোতে হয় বিস্তর দুর্গম পথ। এমনকী ওই প্রবল ঠাণ্ডায় অস্থায়ী ক্যাম্পগুলিতে থাকা রীতিমতো কষ্টদায়ক হয়।
গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে ভারত
আর সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করেই বর্তমানে পিপলস লিবারেশন আর্মির তরফে স্থায়ী ক্যাম্প তৈরি কার হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডার পাশাপাশি প্রবল তুষাঢ়পাতের হাত থেকে বাঁচতেও এই ক্যাম্প তাদের অনেকটাই কাজে লাগবে। এমনকী ভারতীয় সেনা ঘঁটির কাছাকাছি এলাকায় সেনা পাঠাতেও চিনের বিশেষ সুবিধা হবে। তবে গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে ভারত। জোরদার নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাও।