নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ, তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করল দুটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ
নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ, তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করল দুটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ
আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল চিন। তাইওয়ান প্রণালী অবরুদ্ধ করে সামরিক মহড়া করে। আমেরিকা সহ বিশ্বের একাধিক দেশ এই সামরিক অভিযানের সমালোচনা করেছিলেন। তবে এবার তাইওয়ানকে ঘিরে আন্তর্জাতিক উত্তেজনার পারদ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দুটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠাল আমেরিকা। পেলোসির সফরের পর এই প্রথম তাইওয়ানে যুদ্ধ জাহাজ পাঠাল আমেরিকা। মার্কিন নৌবাহিনীর দুটো যুদ্ধ জাহাজ ইতিমধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর বিবৃতি
জাপানে মোতায়েন করা মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম ইউএসএস অ্যান্টিএটাম ও চ্যান্সেলরসভিল ইতিমধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করেছে। এই দুই মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ সমুদ্রের তলা দিয়ে তাইওয়ান প্রণালীর দিকে রহনা দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই দুই যুদ্ধ জাহাজের ওপর বিদেশি শক্তি আক্রমণ করেনি বলেও মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। সামরিক বাহিনীর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই জাহাজগুলো কোনও আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেনি। তাইওয়ান প্রণালী একটি মুক্ত ইন্দো স্প্যাসিফিক অঞ্চল। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এখানে আমেরিকার সামরিক বিমান, যুদ্ঝ জাহাজের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন ও তাইওয়ান প্রণালী
১০০ মাইল জুড়ে তাইওয়ান প্রণালী রয়েছে। এই প্রণালীটি তাইওয়ানকে চিনেক মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে। তাইওয়ান স্বশাসিত দেশ। তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দেশ বলে মনে করে। চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি কোনওদিন তাইওয়ানকে শাসন করেনি। তবে চিন সব সময় তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। চিন এই তাইওয়ান প্রণালীকেও তাদের অভ্যন্তরীণ জলসীমা হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে, মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ান প্রণালীর বেশিরভাগ জলসীমা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় পরে।
আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা
মার্কিন নৌবাহিনীর এই বিবৃতির পরে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন করে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এখনও পর্যন্ত চিনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাইওয়ান উপত্যকায় মার্কিন যুদ্ধ জাহাজকে প্রবেশ করতে যে চিন বাধা দেবে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমেরিকা ও চিনের সম্পর্কের অবনতি
চিনের একাধিক হুমকির পরেও মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। পেলোসির তাইওয়ান সফরের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় চিন। তাইওয়ান প্রণালীকে অবরুদ্ধ করে সামরিক অভিযান করে। পাশাপাশি তাইওয়ানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে চিন সম্পর্ক ছিন্ন করে। প্রভাব পড়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে।
প্রতীকী ছবি