বিমানের চাকায় ঝুলে ১১ ঘণ্টা পাড়ি! দুঃসাহসিক-যাত্রায় অক্ষত যাত্রী, অবাক দুনিয়া
বিমানের চাকায় ঝুলে ১১ ঘণ্টা পাড়ি! দুঃসাহসিক-যাত্রায় অক্ষত যাত্রী, অবাক দুনিয়া
বিমানের চাকা আঁকড়ে তিনি ১১ ঘণ্টা পাড়ি দিয়েও অক্ষত থেকেছেন। পৌঁছে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সুদূর নেদারল্যান্ডে। সারা দুনিয়া আজ বিস্মিত যাত্রীর এই দুঃসাহসিক অভিযানে। অভিযানই বলতে হচ্ছে। কারণ এ তো আর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য বিলাসবহুল বিমান যাত্রা নয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুঃসাহসিক পাড়ি।
বিমানের চাকায় ঝুলে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নেদারল্যান্ড
ঘটনাটি ঘটেছে ডাচ এয়ারলাইন্সে। ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নেদারল্যান্ডে ফিরছিল। তখনও দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডমে পৌঁছতে ওই যাত্রী বিমানে উঠতে পারেননি। তিনি সকলের চোখ এড়িয়ে বিমান ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে চাকায় ঝুলে পড়েন। তারপরই শুরু হয় সেই দুঃসাহসিক অভিযান।
বিমানের চাকায় ঝুলে ১১ ঘণ্টার যাত্রাপথ পেরিয়েও অক্ষত
এক-আধ নয়, ১১ ঘণ্টার যাত্রাপথ পেরোতে হবে জোহানেসবার্গ থেকে আমস্টারডমে পৌঁছতে। সেই যাত্রাপথ পেরিয়ে তিনি অক্ষতই রয়েছেন। মাঝে কেনিয়ার নাইরোবিতে একবার থেমেছিল বিমানটি। সেখানেও তিনি ধরা পড়েননি। একইভাবে নাইরোবি থেকে তিনি আমস্টারডমে পৌঁছে যান। এই ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ শুধু অবাকই নয়, তাঁরা অস্বাভাবিক বলেও ব্যাখ্যা করেছেন।
বিমানের চাকায় ঝুলে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরও বেঁচে যাত্রী
বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, একটা লম্বা পথ বিমানের চাকায় ঝুলে অতিক্রম করার পর তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকেই না। তার কারণ বিমান যে উচ্চতা দিয়ে যায়, সেখানে অক্সিজেনের মাত্রা খুবই কম থাকে। প্রচন্ড ঠান্ডা এবং হাওয়ার দাপট। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন। খুবই কঠিন হাওয়ার ওই গতির সঙ্গে লড়াই চালিয়ে অক্ষত থাকা।
বিমানের নোজ হুইল সেকশনে অর্থাৎ সামনের চাকায় ছিলেন যাত্রী
নেদারল্যান্ডের রয়্যাস ডাচ মিলিটারি পুলিশ জানিয়েছে, বিমানের নোজ হুইল সেকশনে অর্থাৎ সামনের চাকায় ছিলেন ওই ব্যক্তি। আমস্টারডমে নামার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সুস্থ রয়েছেন। তবে তাঁর নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি নয় বিমান কর্তৃপক্ষ। তিনি কোন দেশের নাগরিক তাও প্রকাশ করা হয়নি বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে।
বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের পরেই চাকা থেকে নামেন যাত্রী
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি যে বেঁচে রয়েছেন, সেটাই বড় ব্যাপার। আমস্টারডমের শিফোল বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের পরেই চাকা থেকে নেমে আসেন ওই ব্যক্তি। তা দেখে হইচই পড়ে যায় বিমানবন্দরে। জোহানেসবার্গ থেকেই তিনি লুকিয়ে ছিলেন ওই স্থানে নাকি নাইরোবি থেকে ওঠেন তা নিশ্চিত করা যায়নি এখনও।
কাবুলে এমনই এক ঘটনার মর্মান্তিক সাক্ষী থেকেছিল বিশ্ব
আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের মুহূর্তে কাবুলে এমনই এক ঘটনার মর্মান্তিক সাক্ষী থেকেছিল বিশ্ব। তালিবান শাসন থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য। মার্কিন বিমানের চাকা আঁকড়ে পাড়ি দিয়েছিল দু-জন যাত্রী। তাঁদের শেষরক্ষা হয়নি। আমেরিকা পৌঁছতে চাকায় ঝুলে পড়েছিল তাঁরা। কিন্তু কয়েক হাজারফুট উঁচু থেকে আছড়ে পড়ে প্রাণ হারান তাঁরা দুজনেই।