৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সেনা সরাল ইজরায়েল
৮ জুলাই হামাসের রকেট হামলার জবাবে সামরিক অভিযান চালাতে শুরু করে ইজরায়েল। প্রথমে তারা আকাশপথে হামলা চালাচ্ছিল। পরে দেখা যায়, গাজা সীমান্ত বরাবর অন্তত ৬০টি গোপন সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে হামাস জঙ্গিরা। এই সুড়ঙ্গ ধরে ইজরায়েলে সেঁধিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এর জবাবে ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয় স্থলপথে সেনা অভিযান। ২৯ দিনের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলের তরফে মারা গিয়েছে ৬৩ জন, যা ২০০৬ সালের পর সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি।
এদিকে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দু'পক্ষের ওপর বাড়ছিল আন্তর্জাতিক চাপ। শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে মিশরের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসে হামাস ও প্যালেস্তাইন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। তাদের কাছে মিশরের শান্তি পরিকল্পনা 'বাস্তবসম্মত' মনে হয়। ওই বৈঠকে ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা ছিল না। কিন্তু মিশরের প্রস্তাবকে তারাও পরে 'বাস্তবসম্মত' বলে বর্ণনা করে। মঙ্গলবার সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে ইজরায়েলের উদ্দেশে অন্তত ১৮টি রকেট ছোড়ে হামাস। জবাবে উড়ে যায় ইজরায়েলের বোমারু বিমানও। তবে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় আপাতত শান্তি এসেছে বধ্যভূমিতে।
তা ছাড়া, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, হামাসের সুড়ঙ্গগুলি খুঁজে বের করে তাদের গতিবিধি আটকানোই ছিল লক্ষ্য। সেই কাজ আপাতত সফল। ফলে ইজরায়েল শান্তি প্রস্তাবে সায় দিচ্ছে ও গাজা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। ভবিষ্যতে হামাস হামলা করে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন তিনি।
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় মঙ্গলবার গাজায় খোলে দোকানপাট। এতদিন ইজরায়েলের গোলাগুলির ভয়ে রাস্তাতে বেরোতে ভয় পাচ্ছিলেন মানুষ। এ দিন সব দোকানের সামনেই লক্ষ করা গিয়েছে ভিড়। ঘরে খাবার নেই, ওষুধ নেই। তাই কেনাকাটা শুরু হয়েছে পুরোদমে। শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটেন বলেছে, এর ফলে মানবসভ্যতার এক ভয়াবহ সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা গেল।