For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

আয়তনে সূর্যের চেয়েও ৭০ গুণ বড়, মহাকাশে দানবাকৃতির ব্ল্যাক হোলের সন্ধান মিলল

আয়তনে সূর্যের চেয়েও ৭০ গুণ বড়, মহাকাশে দানবাকৃতির ব্ল্যাক হোলের সন্ধান মিলল

Google Oneindia Bengali News

মহাকাশে রয়েছে এক বিরাট আকৃতির দানব '‌কৃষ্ণ গহ্বর’‌, যেটি সূর্যের চেয়ের ৭০ গুণ বড় আয়তনে। এই কৃষ্ণ গহ্বরের খোঁজ মিলেছে আমাদের আকাশগঙ্গায়। বৃহস্পতিবার এই তথ্যের হদিশ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই দানবাকৃতি কৃষ্ণ গহ্বরের চারপাশে ঘুরপাক খেয়ে চলেছে নক্ষত্রেরা। বিজ্ঞানীদের ধারণা এরকম ১০০ মিলিয়ন কৃষ্ণ গহ্বর রয়েছে আকাশগঙ্গায়। যেগুলি মহাজাগতিকে তারাদের পতনের ফলে গড়ে উঠেছে এবং এই গহ্বরগুলির মধ্য দিয়ে আলোও প্রবেশ করতে পারে না।

আয়তনে সূর্যের চেয়েও ৭০ গুণ বড়, মহাকাশে দানবাকৃতির ব্ল্যাক হোলের সন্ধান মিলল


চিনের ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরির অধ্যাপক–গবেষক লিউ জিফেং জানিয়েছেন, আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সিতে হাজার হাজার রাক্ষুসে কৃষ্ণ গহ্বর রয়েছে। যারা সূর্যের চেয়েও বহুগুণ ভারী। 'এলবি–১’ কৃষ্ণগহ্বর সবার মাঝে ব্যতিক্রমী। যেমন তার পেল্লায় চেহারা, তেমনি গম্ভীর মেজাজ। আয়তনে সূর্যের চেয়ে প্রায় ৭০ গুণ বড়। ভরও কম কিছু নয়। সেখানেও টেক্কা দিয়েছে সে সৌরমণ্ডলের নেতাকে। সূর্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ ভারী এই সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলকে নিয়েই এখন কাটাছেঁড়া করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে এই ব্ল্যাক হোলটি পৃথিবী থেকে ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। অধ্যাপক লিউ জিফেং বলেন, '‌নক্ষত্র বিবর্তনের যুগে আমাদের গ্যালাক্সিতে এ ধরনে বিরাট আকারের ব্ল্যাক হোলস না থাকায় শ্রেয়।’‌

আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নালগুলিতে ইতিমধ্যেই 'এলবি–১’ ব্ল্যাকহোলের চর্চা। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পদার্থবিদ ডেভিড রেইটজি বলেছেন, '‌কৃষ্ণগহ্বরের মধ্যে সবসময় যে এখটা খাই খাই ভাব থাকে সেটা এর মধ্যেও আছে। আকারে আয়তনে বিশাল হওয়ায় এর দেমাকই আলাদা। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ঠিক যেখানে এটি রয়েছে তার চারপাশে জমে থাকা পুরু গ্যাস ও ধুলোবালির মেঘ টেনে নিচ্ছে এই দানব।’‌

সাধারণত দেখা যায়, যে কোনও গ্যালাক্সির মাঝে থাকা ব্ল্যাক হোলের অভিকর্ষ টান সাঙ্ঘাতিক হয়। ঘন জমাট বাঁধা গ্যাসের মেঘ, কাছে এসে পড়লে ওই রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোলগুলি তাদের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে সেগুলিকে গিলে নেয়। সেগুলি আর ব্ল্যাক হোল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। খিদে মিটলে তার ভিতর থেকে উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায়। যেগুলি আসলে প্রচণ্ড শক্তিশালী এক্স-রে বা গামা-রশ্মির স্রোত। যতক্ষণ এই খাবার প্রক্রিয়া চলে, ততক্ষণ এই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বেরিয়ে আসতে থাকে গ্যালাক্সি থেকে এবং মহাশূন্যে ভেসে বেড়ায়। খাওয়া শেষ হয়ে গেলে, এক্স রে নির্গমনও বন্ধ হয়ে যায়। তখন আলোর দপদপানি নিভে যায়। সাধারণত দেখা যায়, যে কোনও গ্যালাক্সির মাঝে থাকা ব্ল্যাক হোলের অভিকর্ষ টান সাঙ্ঘাতিক হয়। ঘন জমাট বাঁধা গ্যাসের মেঘ, কাছে এসে পড়লে ওই রাক্ষুসে ব্ল্যাক হোলগুলি তাদের জোরালো অভিকর্ষ বলের টানে সেগুলিকে গিলে নেয়। সেগুলি আর ব্ল্যাক হোল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। খিদে মিটলে তার ভিতর থেকে উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায়। যেগুলি আসলে প্রচণ্ড শক্তিশালী এক্স-রে বা গামা-রশ্মির স্রোত। যতক্ষণ এই খাবার প্রক্রিয়া চলে, ততক্ষণ এই তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ বেরিয়ে আসতে থাকে গ্যালাক্সি থেকে এবং মহাশূন্যে ভেসে বেড়ায়। খাওয়া শেষ হয়ে গেলে, এক্স রে নির্গমনও বন্ধ হয়ে যায়। তখন আলোর দপদপানি নিভে যায়। 'এলবি–১’ কৃষ্ণগহ্বরের আকর্ষণ ক্ষমতা ভয়ঙ্কর। তার বাহুপাশে আটকে পড়লে তারাদের মুক্তি অসম্ভব। একবার শিকার হাতে চলে এলে তার শেষ না দেখে ছাড়ে না এই সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলরা। চিনের অত্যাধুনিক টেলিস্কোপে এই ব্ল্যাকহোল ধরা দেওয়ার পর থেকেই এর চরিত্র বুঝতে মাথা ঘামাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

এই কৃষ্ণগহ্বরের জন্ম কীভাবে হল সেই নিয়ে তথ্য অনেক। মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলেন, একটি গ্যালাক্সির গ্যাসীয় স্তরে ভেসে বেড়ায় কোটি কোটি নক্ষত্র। বিশালাকার সেইসব তারাদের মধ্যে অবিরত ধাক্কাধাক্কি, মারামারি চলে। যার ফলে ভয়ানক বিস্ফোরণ হয়, যাকে বলে সুপারনোভা। এই প্রলয় যেমন মৃত্যু ঘটায়, তেমনই জন্ম দেয় নতুন নক্ষত্রের। আবার এমনও দেখা যায়, গ্যালাক্সির ভিতর লুকিয়ে থাকা কোনও ভারী ব্ল্যাক হোল তার প্রবল অভিকর্ষজ বলের ক্রিয়ায় তারাদের নিজের দিকে টেনে নিতে থাকে। ব্ল্যাক হোলের ভিতরে এই নক্ষত্রেরা তলিয়ে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড বেগে একে অপরকে ধাক্কা মারে। এই সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয় এক্স–রে। যা আমরা দেখতে পাই না। তবে সেগুলিও তড়িৎ–চৌম্বকীয় তরঙ্গ বা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ। এই রশ্মির বিকিরণ প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও আলোর ছটা তৈরি করে। কিন্তু চিনের মহাকাশবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সুপারনোভা তৈরি হয়নি, তার মানে 'এলবি–১’ কৃষ্ণগহ্বরের জন্মের পিছনে অন্য কারণ দায়ী।

পৃথিবী থেকে ২৫ কোটি আলোকবর্ষ দূরে জিএসএন–০৬৯ রাক্ষুসে ব্ল্যাকহোলের সন্ধান কয়েকমাস আগেই পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। নাসার চন্দ্রা এক্স–রে অবজারভেটরি এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির এক্সএমএম নিউটন এই ব্ল্যাকহোলের খোঁজ দিয়েছিল।

English summary
black hole named LB-1, located 15 thousand light-years from the Earth,
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X