বাইশের বিশাল ক্ষতির মুখে মাস্ক থেকে বেজোসরা, লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছেন অম্বানি আদানিরা
বাইশের বিশাল ক্ষতির মুখে মাস্ক থেকে বেজোসরা, লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছেন অম্বানি আদানিরা
বিশ্বের ৫০০ জন ধনী ব্যক্তি ২০২২ সালের প্রথমার্ধে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটা একটি চমকপ্রদ তথ্য। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে এই বছরের ছয় মাসে যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এই বিলিনয়াররা তা আর কখনও হননি।
ক্ষতি হয়েছে এলন মাস্কেরও
রিপোর্ট অনুসারে, টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ভাগ্য প্রায় ৬২বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আমাজনের প্রাক্তন সিইও এবং প্রেসিডেন্ট জেফ বেজোস তার সম্পদের প্রায় ৬৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে। মেটা যা ফেসবুক নামেও পরিচিত তাঁর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের মোট সম্পদ অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছে।
দু জন লাভের মুখ দেখেছেন
উল্লেখযোগ্যভাবে, শীর্ষ ১০ তালিকায় মাত্র দুইজন বিলিয়নেয়ার আছে যারা তাদের এর মাঝেও লাভের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। এঁরা হলেন গৌতম আদানি যিনি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং মুকেশ আমাবানি যিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান।
বিলিয়নিয়ারদের সম্পূর্ণ তালিকা এবং তাদের সম্পদের পরিবর্তন দেওয়া হল
১
এলন
মাস্ক-এর
২০৮
বিলিয়ন
ডলার
থেকে
সম্পত্তি
কমেছে
৬১.৮
বিলিয়ন
ডলার
২
জেফ
বেজোস-এর
১৩০
বিলিয়ন
ডলার
থেকে
সম্পত্তি
কমেছে
৬২.৭
বিলিয়ন
ডলার
৩
বার্নার্ড
আর্নল্ট-এর
১২৯
বিলিয়ন
ডলার
থেকে
সম্পত্তি
কমেছে
৪৯.৩
বিলিয়ন
ডলার
৪
বিল
গেটস-এর
১১৪
বিলিয়ন
ডলার
থেকে
সম্পত্তি
কমেছে
২৩.৪
বিলিয়ন
ডলার
৫
ল্যারি
পেজ-এর
৯৯.৪
বিলিয়ন
ডলার
থেকে
সম্পত্তি
কমেছে
২৯
বিলিয়ন
ডলার
৬
গৌতম
আদানি-এর
৯৮.৯বিলিয়ন
ডলারে
লাভ
করেছেন
২২.১
বিলিয়ন
ডলার
৭
সের্গেই
ব্রিন-এর
৯৫.৩
বিলিয়ন
ডলার
সম্পত্তি
থেকে
কমেছে
২৮.৩
বিলিয়ন
ডলার
৮
ওয়ারেন
বাফেট-এর
৯৪.৩বিলিয়ন
ডলার
সম্পত্তি
থেকে
কমেছে
১৪.১
বিলিয়ন
ডলার
৯
মুকেশ
আম্বানির-এর
৯৩
বিলিয়ন
ডলার
সম্পত্তি
থেকে
বেড়েছে
৩.০৫
বিলিয়ন
ডলার
১০
স্টিভ
বলমার-এর
৯১.১
বিলিয়ন
ডলার
থেকে
সম্পত্তি
কমেছে
১৪.৬
বিলিয়ন
ডলার
মহামারির জের
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অর্থনীতিতে দুই বছরের ধরে খারাপ প্রভাব পড়ার পর বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারকরা উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সুদের হার বাড়াচ্ছে বলে বিলিয়নেয়ারদের সম্পদে এই তীব্র পতন ঘটে।
অর্থনীতিতে প্রভাব কাটাতে
মহামারীর শেষ দুই বছরে, অতি-ধনীদের ভাগ্য ফুলে ফেপে উঠতে দেখা গিয়েছে কারণ সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে মহামারীর প্রভাব কমানোর জন্য বিভিন্ন লাভজনক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল, প্রযুক্তি কোম্পানি থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোকারেন্সি পর্যন্ত সবকিছুর মূল্যই এর মধ্যে ছিল। তারমধ্যেই এবার এই বছরে এঁরা ক্ষতির সম্মুখীন হন।
জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রের চরিত্র বদলাচ্ছে, ম্যানগ্রোভের বিস্তার নিয়ে চিন্তায় গবেষকরা