ইরাকের মসুল থেকে ৪০ ভারতীয়দের অপহরণই করা হয়েছে, নিশ্চিত ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক
ইরাকের
মসুলে
আটকে
থাকা
৪০
ভারতীয়র
সঙ্গে
যোগাযোগ
করা
যাচ্ছে
না,
জানাল
ভারতীয়
বিদেশমন্ত্রক
:
নয়াদিল্লি, ১৮ জুন : ইরাকের মসুল শহর থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেন ৪০ জন ভারতীয়। বাগদাদে ভারতীয় অভিযান আরও জোরদার করতে অভিজ্ঞ কূটনীতিক সুরেশ রেড্ডিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ওই ৪০ জন ভারতীয়র সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েথে মুখপাত্র সঈদ আকবারুদ্দিন। নিখোঁজরা সকলেই নির্মাণকর্মী। তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে কিনা সেবিষয়ে নিশ্চিত কোনও প্রমাণ না মিললেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।
জঙ্গিদের দখলে চলে যাওয়া মসুল শহরে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। এই ৪০ ভারতীয় তাঁদের মধ্যেই ছিলেন। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঠিকাদাররা সরাসরি নির্মানকর্মী হিসাবে এদের কাজে লাগিয়েছে। এবং এদের সম্পর্কে সঠিক কোনও তথ্যই নথিভুক্ত নেই ফলে এদেরকে খোঁজাটা কঠিন বিষয় হয়ে উঠছে ক্রমশ।
ভারতীয়দের সম্পর্কে খোঁজখবর দিতে ইতিমধ্যে দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ইরাক সরকার এবং রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দলের সঙ্গে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাগদাদ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গীরা।
নিখোঁজ ভারতীয়দের অপহরণ করা হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়: ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিকরিট ও আরবিল শহরেও প্রায় শতাধিক মানুষ এমুহূর্তে অসহায় অবস্থায় আটকে থাকতে পারেন। তিকরিটে প্রায় ৪৬ জন কেরালার নার্স আটকে রয়েছেন। সেখান থেকে কেরালা সরকারের উদ্দেশ্য জরুরী বার্তাও পাঠিয়েছেন তাঁরা। আটকে পড়া ভারতীয়দের সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে সবরকম পথ পর্যালোচনা করে দেখছে বিদেশমন্ত্রক। তবে ইরাকে যা পরিস্থিতি তাতে কাজটা কতটা সম্ভবপর হবে তা নিয়ে এখনও দ্বিমত রয়েছে।
রবিবার থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটানা যুদ্ধ চলছে সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য ল্যাভেন্টের। মঙ্গলবার তাঁদের দখলে চলে গিয়েছে মসুল শহর। সোমবারই তাল আফার শহরের দখল নেয় তারা। তবে বিমানবন্দরের কিছু অংশ ইরাকি সেনার দখলে রয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে ইরাক সরকারের পক্ষ থেকে।
ইরাকের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। ইরাকে তাঁদের দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি দুশো পচাত্তর জন মার্কিন সেনার বিশেষ একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এর বাইরে ইরাকে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা আরও একবার খারিজ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।