সীমান্তে কনকনে ঠাণ্ডায় জমে মর্মান্তিক মৃত্যু এক শিশু সহ চার ভারতীয়ের, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে। প্রবল ঠাণ্ডায় কার্যত জমে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিবারের চার সদস্যের। এক শিশু সহ ওই পরিবারের সদস্যদের দেহ পাওয়া গিয়েছে আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে। ওই পরিবার ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে। মর্
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে। প্রবল ঠাণ্ডায় কার্যত জমে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিবারের চার সদস্যের। এক শিশু সহ ওই পরিবারের সদস্যদের দেহ পাওয়া গিয়েছে আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে। ওই পরিবার ভারতীয় বলে জানা গিয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আমেরিকা ও কানাডার রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কেন্দ্র। প্রবল ঠাণ্ডাতেই ওই পরিবারের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে কোনও এক মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়েছিল তারা ।আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তে মিনেসোটার কাছে ওই চার সদস্যের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশু। পুলিশের অনুমান পাচার করার জন্যই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কানাডা সীমান্তের দিকে। সম্ভবত কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষীকে দেখতে পেয়ে তাঁদের ফেলে রেখে পালায় পাচারকারীরা। পরে সেখানে পড়ে থেকে ঠাণ্ডায় হাত-পা জমে গিয়েই মৃত্যু হয় তাঁদের।
এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে স্টিভ শন্ড নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গত বুধবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই টুইট করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার তিনি টুইটে লিখেছেন, 'আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তে এক শিশু সহ এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বিস্মিত। আমেরিকা ও কানাডা রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।' ওই চারজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আমেরিকার সীমান্তরক্ষীরা দেখতে পান আরও কয়েকজন ওই এলাকা দিয়েই হেঁটে এগিয়ে চলেছেন সীমান্তের দিকে।
তাঁরাও প্রত্যেকেই ভারতীয়। সীমান্ত পার করতেই যাচ্ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের কাছে একটি ব্যাগ পাওয়া যায়, আর তাতে ওই মৃতদের পরিবারের জিনিসপত্র রয়েছে। তা দেখেই পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে ওই একই দলের সঙ্গে সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল ওই পরিবার। কোনও ভাবে আলাদা হয়ে যান তাঁরা।
স্টিভ শন্ড নামে ওই ব্যক্তি যখন আরও দুই ভারতীয়কে সীমান্ত পার করানোর চেষ্টা করছিলেন, সেই সময়ই ধরা পড়েন তিনি। ওই দুই ভারতীয়ের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। যে পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন পুরুষ, একজন মহিলা, এক তরুণ ও এক শিশু। যে এলাকায় পড়েছিল তাঁদের দেহ তার উচ্চতাও অনেক বেশি। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে ঠাণ্ডায় জমে গিয়েছিল তারা।
শুধু তাই নয়, জেন ম্যাকল্যাচি নামে এক আধিকারিক জানান, অস্বাভাবিক ঠাণ্ডা ছিল এই এলাকায়। চারপাশে অনেক দূর অবধি ফাঁকা জায়গা ছিল। রাতে ওই এলাকায় ঘন অন্ধকার নামে। সে সব পেরিয়ে যাওয়ার সময়ই সম্ভবত মৃত্য়ু হয়ে ওই চারজনের।
যে পাঁচজন ভারতীয়কে সীমান্তের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল, উদ্ধার হওয়ার পর তাঁরা জানিয়েছেন, একজন তাঁদের বলেছিলেন নিয়ে যাবেন কোথাও। সেই মতো তাঁরা ওই পথ ধরে এগোচ্ছিলেন।