করোনার বিষ দংশন: বিমান চলাচল স্তব্ধ থাকায় কত কোটি মানুষ কর্মহীন হতে পারেন! চাঞ্চল্য নয়া তথ্যে
করোনার বিষ দংশন: বিমান চলাচল স্তব্ধ থাকায় কত কোটি মানুষ কর্মহীন হত পারেন! চাঞ্চল্য নয়া তথ্যে
করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে তপ্ত পরিস্থিতি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু জানিয়েছে ২৫ মিলিয়ন মানুষ এই পরিস্থিতিতে কর্মহীন হতে পারেন। এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোশিয়েশন জানিয়েছে, এই করোনা কাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছেন বিমান পরিষেবা সংস্থার প্রায় ২৫ মিলিয়ন কর্মচারী। এমন পরিস্থিতিতে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান আসছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোশিয়েশন জানিয়েছে।
বিমান চলাচল নিয়ে কোন পরস্থিতি
বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষিত হওয়ায় বহু আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বহু অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও। ২৫ মিলিয়ন বিমান কর্মী এতে কর্মহীন হতে চলেছেন। এমনই আশঙ্কা বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলির।
কতজন মানুষের নির্ভরতা বিমান পরিষেবা সংস্থায়?
৬৫. ৫ মিলিয়ন মানুষের নির্ভরতা রয়েছে বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলির ওপর। এঁদের মধ্যে পর্যটন বিভাগের সঙ্গে যুক্তদেরও রয়েছে নির্ভরতা এই বিমান পরিষেবা সংস্থার উপর। আর বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও বিপাকে পড়ছে বলে খবর।
কোন কোন এলাকায় কতজন বিপদে?
এখনও পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান মিলেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোশিয়েশন বলছে, এশিয়া পেসিফিকে ১১.২ মিলিয়ন মানুষ কর্মহীন হতে পারেন। ৫.৬ মিলিয়ন মানুষ ইওরোপে কর্মহীন হতে পারেন। ল্য়াটিন আমেরিকায় ২.৯ মিলিয়ন মানুষ কর্মহীন হতে পারেন। উচ্চর আমেরিকায় কর্মহীন হতে পারেন ২ মিলিয়ন মানুষ। মধ্যপ্রাচ্য়ে কাজ হারাতে পারেন ০.৯ মিলিয়ন কর্মী। আফ্রিকায় কাজ হারাতে পারেন ২ মিলিয়ন মানুষ।
বিমান পরিষেবার কত টাকার ক্ষতি ?
বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি গোটা বছরে ২৫২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন। যার জেরে মাইনাস ৪৪ শতাংশ মানুষ আয়ের কমতি দেখা দিতে পারে ২০১৯ সালের তুলনায়। পরবর্তীকালে বিমা সংস্থাগুলির আয়ে ৭০ শতাংশ কমতি হতে পারে বলে খবর।