৯/১১-র ১৫ বছর পূর্তি : মাত্র ১০২ মিনিটে তছনছ হয়েছিল আমেরিকা!
নিউ ইয়র্ক, ১১ সেপ্টেম্বর : এদিন রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পালিত হচ্ছে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ঘটে যাওয়া বীভৎসতম জঙ্গি হানার ১৫ বছর পূর্তি। আজকের দিনেই ওয়ামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার অপহরণ করা বিমানগুলি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। [কী দেখে মার্কিন হামলার ছক মাথায় আসে বিন লাদেনের?]
সেই জঙ্গি হামলা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম। এই প্রথম বিদেশিদের আক্রমণ নেমে এসেছিল মার্কিন মুলুকে, তাও আবার আকাশপথে। বিমানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৩ হাজার সাধারণ মানুষ। তারপর থেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে আমেরিকা সহ অন্য দেশগুলি। যা আজও চলছে। [২০০১ সালে মার্কিন মুলুকে বীভৎস হামলার ইতিবৃত্ত]
সেদিন আল কায়েদার ছিনতাই করা দুটি বিমান নির্দিষ্ট ব্যবধানে গিয়ে ধাক্কা মারে নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে। মারা যান ২৭৫৩ জন মানুষ। তৃতীয় বিমানটি গিয়ে ধাক্কা দেয় ওয়াশিংটনে মার্কিন সরকারের প্রধান কার্যালয়ের একটি পেন্টাগনে। সেখানে মারা যান অন্তত ১৮৪ জন মানুষ। [৯-১১-র ঢঙে আরও বড় হামলা হবে, নিজস্ব ম্যাগাজিনে হুমকি আল কায়েদার]
এরপরে ছিনতাই করা চতুর্থ বিমানটির দুর্ঘটনা ঘটানোর হয় পেনসিলভেনিয়ার শাঙ্কসভিলে। যাত্রীরা বিদ্রোহ শুরু করলে আছড়ে ফেলা হয় বিমানটিকে। সেখানে মারা যান অন্তত ৪০ জন নিরীহ মানুষ। [লাদেনকে মারার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করে পাকিস্তান!]
নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে যে বিমানটি ধাক্কা মারে সেটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ বিমান। এটির যাত্রাপথ ছিল বস্টন-লস অ্যাঞ্জেলস। সেটাতে যাত্রী ছিলেন ৯২ জন। যার মধ্যে ছিল ৫ জন বিমান ছিনতাইকারী জঙ্গি।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সেরই আর একটি বোয়িং ৭৬৭ বিমান ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে আঘাত করে। এতেও ৫ জন বিমান ছিনতাইকারী জঙ্গি ছিল। অন্যদিকে পেন্টাগনে যে বিমানটি আঘাত করে সেটি ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৫৭ বিমান। এতেও ৫ জন ছিনতাইকারী ও ৬৪ জন যাত্রী ছিল।
এছাড়া যে বিমানটিকে পেনসিলভেনিয়ার শাঙ্কসভিলে আছড়ে ফেলা হয় সেটি ছিল ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৫৭ বিমান। তাতে ৪৪ জন যাত্রী ও ৪ জন ছিনতাইকারী ছিল। যাত্রী ও বিমানের ক্রু সদস্যরা জঙ্গিদের উপরে হামলে পড়লে বিমানটিকে ধ্বংস করে ফেলে জঙ্গিরা।