কালবৈশাখীতে নিহত ১১, ঝড়ের ধাক্কায় লাইনচ্যুত ট্রেন
স্থানীয় সূত্রে খবর, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে মারা যায় অন্তত পাঁচ জন। এর মধ্যে চারজনই শিশু। এ ছাড়া মোহনগঞ্জে একজন, বারহাট্টায় একজন, নেত্রকোনা সদর উপজেলার বন্নি গ্রামে একজন মারা গিয়েছেন। সুনামগঞ্জে ধরমপাশা উপজেলায় নিহত হয়েছেন আরও তিনজন। কাঁচা বাড়ি বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়েছে গিয়েছে। শুধু ঘরবাড়ি নয়, বিস্তীর্ণ এলাকার ক্ষেতের ফসল তছনছ হয়ে গিয়েছে। ফলে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
এদিকে, কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ওপর ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসের নয়টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ বঙ্গবন্ধু সেতুর সাত নম্বর পিলারের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। ভয় পেয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা। তাড়াতাড়ি ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন ২০ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। রাতেই সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর জেরে সোমবার সারা দিন বন্ধ থাকে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন চলাচল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনটি যখন যাচ্ছিল, তখনই বাতাসের প্রবল তোড়ে ট্রেনের কামরাগুলি কাঁপতে থাকে। প্রথমে ট্রেনের সর্বশেষ কামরাটি লাইনচ্যুত হয়। এর পর একে একে আরও আটটি কামরা লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। বিপদ বুঝতে পেরে ড্রাইভার ট্রেনটি থামিয়ে দেন। কামরাগুলি একদিকে হেলে পড়ে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হল রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। উদ্ধারকাজে তৎপরতা আনতে সোমবার সকালে ঈশ্বরদী ও ঢাকা থেকে দু'টি বিশেষ ট্রেন পাঠানো হয়।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনটি ব্রিজের দেওয়ার ওপর হেলে পড়ায় মূল কাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি মেরামত করে তবে ট্রেন চালানো শুরু হবে। ঘটনার তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।