মুশারফ এখন কাঙাল, সঙ্গে জুটল 'ফেরার আসামি'-র তকমা
বেনজির ভুট্টো হত্যামামলার রায়ে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে ফেরার ঘোষণা করল পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত।
বেনজির ভুট্টো হত্যামামলার রায়ে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে ফেরার ঘোষণা করল পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত। সেইসঙ্গে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রায় দশ বছর পর এই হত্যামামলায় রায়ে দুই পুলিশ আধিকারিককে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বেকসুর খালাস করা হয়েছে ধৃত ৫ তেহরিক ই তালিবান সদস্যকে।
[আরও পড়ুন:দাউদ রয়েছে পাকিস্তানেই, বেফাঁস মন্তব্যে স্বীকার করেই ফেললেন মুশারফ]
২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময়ে হত্যা করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে। এই ঘটনায় পাঁচ তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তানের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত করা হয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফকেও। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হয়।
তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের ৫ জঙ্গির বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করা হয় একটি টেলিফোনে কথোপকথন যেখানে কোনও একজন ধর্মগুরু তাদের ভুট্টোকে খুন করার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছে। এই অডি ক্লিপিং পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এফআইএ-র কাছে। কিন্তু এফআইএ জানিয়ে দেয় এই অডিও ক্লিপিং ভুয়ো। এফআইএ-এর আইনজীবী মহম্মদ আজহার চৌধুরী দাবি করেন, নিজেকে বাঁচাতে জেনারেল পারভেজ মুশারফ এই ভুয়ো অডিও ক্লিপিং তৈরি করিয়েছিলেন।
এই হত্যামামলায় ২০১৩ সালে পারভেজ মুশারফকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু এক বছর পরেই তাঁর ওপর থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ২০১৪ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। বারবার সমন জারি করা সত্ত্বেও হাজিরা দিতে তিনি আসেননি। ফলে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়ে মুশারফকে ফেরার ঘোষণা করে তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারক মহম্মদ আসগর খান।