ভরা বিয়ে আসরে দাদার হবু স্ত্রী-র গলাতেই মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দিল ভাই! ভাইরাল খবর
কয়েক বছর আগে 'মেরে ব্রাদার কি দুলহন' নামে একটি হিন্দি ছবি সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই ছবিতেও দাদার হবু স্ত্রী-কে হাইজ্যাক করে নিয়েছিল ভাই।
বিয়ের পিঁড়িতে বসা দাদার হবু বউকে শেষ মুহূর্তে মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দিল ভাই। আর একবার মঙ্গলসূত্র গলায় পরার পর তা খুলতে নারাজ কনেও। অনেকেই হয়ত ভাবছেন কোন সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু না, কোনও সিনেমা নয়, বাস্তব এই ঘটনাটি ঘটেছে ভেলোরের তিরুপাত্তুর এলাকায়। কী হয়েছিল সেদিন?
রাজ্য়পলায়াম এলাকার বছর কুড়ির ওই কনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল কুমারের। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। বিয়ের পিঁড়িতে বসে সমস্ত আচার- অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিচ্ছিলেন পুরোহিত। বিয়ের শেষ পর্যায়ে এসে পুরোহিত বলেন, কনের গলায় মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দিতে। কিন্তু কুমার মঙ্গলসূত্র পরানোর আগেই ছুটে এসে অন্য একটি মঙ্গলসূত্র পকেট থেকে বের করে কনের গলায় পরিয়ে দেয় তারই ছোট ভাই ভেলু।
ব্যস আর যায় কোথায়, ধর ধর মার মার রব ওঠে চারিদিকে। ভেলুর পরানো মঙ্গলসূত্র খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় কনেকে। আর এখানেই গল্পের নাটকীয়তা। ভেলুর মঙ্গলসূত্র খুলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন কনে। পাত্রীপক্ষের কয়েকজন হর্তা-কর্তা ততক্ষণে অবশ্য ঘা- কতক বসিয়ে দিয়েছেন ভেলুকে। কিন্তু পাত্রীও অনড়, তার বিয়ে যে ভেলুর সঙ্গেই হয়ে গিয়েছে। দাদা কুমারও রাগে, দুঃখে, অপমানে ছাদনাতলা ছেড়ে বেরিয়ে যান।
কিন্তু আচমকা এরকম কাণ্ড কেন ঘটাল ভেলু, বাড়ির লোক যখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত, তখনি উঠে এল আসল ঘটনা। দাদার বিয়ে ঠিক করতে রাজ্যপলায়মে নিজেই গিয়েছিল ভেলু। কিন্ত প্রথম দেখাতেই দাদার হবু স্ত্রী-র প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ভেলু। একই অবস্থা হয়েছিল পাত্রীরও। কিন্তু বাড়ির সম্মানরক্ষা বলে কথা, কী আর করা যাবে। অবশেষে বিয়ের সময়ে আর থাকতে না পেরে সাহস সঞ্চয় করে পকেটে রাখা মঙ্গলসূত্র নিয়ে ছাদনাতলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
পাত্রীর পরিবারও ভেলুকে জামাই হিসেবে গ্রহণ করতে চায়নি। অবশেষে বাড়ির মেয়ের মুখ চেয়েই জামাই বরণ করে নেন তাঁরাও। এত কিছুর পর ভেলুর দাদা বা তার পরিবার কী করেছে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবেই যাই হোক না কেন, প্রেমের আগুনকে তো আর চাপা দেওয়া গেল না।