উত্তরপ্রদেশকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বানানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করলেন যোগী
উত্তরপ্রদেশকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বানানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করলেন যোগী
ইতিহাস গড়ে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছে যোগী সরকার। ক্ষমতায় ফিরে প্রতিশ্রুতি মতো উত্তরপ্রদেশের অর্থনীতিকে শক্ত করার কাজ শুরু করলেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যোগী সরকার রাজ্যকে আগামী পাঁচ বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি অর্জন করানোর কথা বলেছিলেন৷ এবার উত্তরপ্রদেশ নিয়ে তাঁর এই উচ্চাকাঙ্খী অর্থনৈতিক স্বপ্নকে স্পর্শ করার সহায়তার জন্য একজন বেসরকারি পরামর্শদাতা নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন যোগী। একই সঙ্গে মঙ্গলবার, যোগী সরকার এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের জন্য বিড আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছে যে তাঁরা ২০২৭ সালের মধ্যে রাজ্যের অর্থনীতিকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের স্তরে উন্নীত করতে চান৷
আগামী এপ্রিল মাসে এই সম্পর্কিত বিডগুলি খোলা হবে বলেও যোগী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশ সরকারের ধারণা আগামী বছরগুলিতে ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে৷ কারণ এটি প্রধানমন্ত্রী কনরেন্দ্র মোদী সরকারের অন্যতম বড় লক্ষ্য। মোদীর এই লক্ষ্যেই যোগদানের জন্যই উত্তরপ্রদেশকে আগামী পাঁচ বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলার প্রায় ৭৬ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতিতে উন্নিত করতে চান যোগী। সে কারণেই উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন হওয়ার আগেই সেখানে অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটানোর ভবিষ্যত প্ল্যান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে যোগী সরকার।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের ২০২১-২২ সালে জিএসডিপি অনুমান করা হয়েছে প্রায় ২১.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা, যা প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের সমান। নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছরে অর্থনীতির আকার প্রায় চার গুণ বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ দেশের জাতীয় জিডিপির ৮ শতাংশ অবদান রাখে এবং মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যটিকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যের সঙ্গে সমান্তরালে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করার পরিকল্পনা করেছেন। নির্বাচনের সময় বিজেপি দাবি করেছিল যে যোগী আদিত্যনাথের অধীনেই আগের বছরগুলিতে ইউপি দেশের ষষ্ঠ এবং সপ্তম অবস্থান থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছিল।
২০২০ সালে যোগী সরকার অর্থনেতিক পরামর্শদাতা নিয়োগের জন্য একটি পূর্ববর্তী টেন্ডার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কিন্তু অজানা কারণে এটি ২০২১ সালে বাতিল করা হয়েছিল। যদিও ২০২১ এ সে সময় করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ ভারতে আঘাত করেছিল। স্পষ্টতই, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের নতুন লক্ষ্যগুলির জন্য রাজ্যের বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর প্রয়োজন হবে এবং মৌলিক পরিকাঠামোর উন্নতির পাশাপাশি বিনিয়োগের হারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে এবং রাজ্য স্তরে টেকসই এবং দ্রুত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে। যিনি উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পরামর্শদাতা হবেন তাঁকে সাংগঠনিক পুনর্গঠন, আরও কার্যকরী শাসন, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া এবং উন্নত জবাবদিহিতার জন্য মনোনিবেশিত নীতি এবং নিয়মগুলি দেখা এবং জিএসডিপি, বাণিজ্য, বিনিয়োগের আশেপাশে ম্যাক্রো এবং মাইক্রো-অর্থনৈতিক সেক্টরাল ডেটার সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।