CAA ইস্যুতে সরকারী সম্পত্তি নষ্টের দায়ে ২৮ টি পরিবারকে নোটিস যোগী সরকারের, ক্ষতিপূরণ কত লাখ টাকার
নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে গোটা দেশ গত কয়েক দিনে বহু অশান্তির খণ্ডচিত্র দেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসম, দিল্লি থেকে ম্যাঙ্গালোর, কানপুর, লখনউ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কয়েকদিন আগেই।
নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যুতে গোটা দেশ গত কয়েক দিনে বহু অশান্তির খণ্ডচিত্র দেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অসম, দিল্লি থেকে ম্যাঙ্গালোর, কানপুর, লখনউ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কয়েকদিন আগেই। উত্তরপ্রদশের বিভিন্ন শহরে যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বাস,গাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন যে যারা এমন কাজ করেছেন, তাদের থেকেই নেওয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। আর সেই মতো এবার ২৮ টি পরিবারের কাছে গেল নোটিস।
যোগী আদিত্যনাথের বার্তা ক্ষতিপূরণ নিয়ে
যে দিন লখনউ থেকে কানপুর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেদিনই যোগী আদিত্যনাথের তরফে সাফ বার্তা এসেছিল যে , যারা সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের 'যোগ্য জবাব' দেওয়া হবে। তখনই তিনি জানিয়ে দেন, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট যারা করেছে , তাদের থেকেই নেওয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। এজন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হবে বিক্ষোভকারীদের।
২৮ জনকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
উত্তরপ্রদেশের ২৮ টি পরিবারের কাছে গিয়েছে যোগী সরকারের পাঠানো হিংসা নিয়ে প্রথম নোটিস। পরিবারগুলিকে নোটিস পাঠিয়ে তাদের বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের হিংসায় জড়িত থেকে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য সরকারকে তারা কেন ক্ষতিপূরণ দেবে না, তার কারণ ব্যাখ্যা করা হোক। প্রসঙ্গত, রামপুর এলাকায় পুলিশের জিপ তেকে, মোটর সাইকেল ও কোতয়ালি পুলিশ স্টেশনে আগুন ধরানোর ঘটনায় এই নোটিস পাঠানো হয়.।
কত টাকার ক্ষতিপূরণ?
জানা গিয়েছে, সরকারি প্রথম নোটিসটিতে নোটিসে ১৪. ৮৬ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের কথা বলা হয়েছে। নোটিসে জানানো হয়েছে, হিংসায় উত্তরপ্রদেশের সরকারের ১৪.৮৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর সেই অঙ্ক কেন ওই বিক্ষোভকারীরা দেবে না, তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
ধৃত ২৮ জনের মধ্যে কারা রয়েছে?
উত্তরপ্রদেশে হিংসার জন্য ২৮ জন ধৃতের মধ্যে রয়েছে, একজন মশলা বিক্রেতা হকার, রয়েছে এক দরজি। পেশায় দরজি জমিরের মা জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ছেলেকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য আইনজীবী নেওয়ারই টাকা নেই, তাহলে তিনি কী করে এই ক্ষতিপূরণের টাকা দেবেন?
পুলিশের দাবি
উত্তরপ্রদেশের রামপুরে পুলিশের দাবি, যে ২৮ জনকে হিংসার জন্য ধরে জেলে বন্দি করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে হিংসায় যোগ দেওয়ার। আর সেই কারণেই ওই ধৃতদের পরিবারকে যোগী সরকারের পাঠানো প্রথম নোটিসে ক্ষতিপূরণের জন্য বলা হয়েছে। এই নোটিস এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে ও সরকারের নির্দেশে পাঠানো হয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের প্রশাসন জানিয়েছে।
আগামিকাল লখনউয়ে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী