আইনমন্ত্রী থেকে উত্তরপ্রদেশের Deputy CM! যোগীর 'ডান-হাত' কে এই Brajesh Pathak?
এবার উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় যোগী সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। তবে এবার ব্রাহ্মণ সমাজ থেকে দিনেশ শর্মাকে যোগী তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা দেননি। আর তাঁর জায়গাতেই ব্রজেশ পাঠককে ডেপুটি সিএম হিসাবে নিয়োগ করা হয়ে
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ব্রজেশ পাঠকের কোনও আলাদা পরিচিতির প্রয়োজন নেই! এবার উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় যোগী সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। তবে এবার ব্রাহ্মণ সমাজ থেকে দিনেশ শর্মাকে যোগী তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা দেননি। আর তাঁর জায়গাতেই ব্রজেশ পাঠককে ডেপুটি সিএম হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
তবে ব্রজেশ পাঠককে উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ নতুন কিছু নয়। ওই পদের যে তিনিই যোগ্য তা প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, খোদ যোগী আদিত্যনাথের খুব পছন্দের মানুষ ব্রজেশ!
ব্রজেশ পাঠকের রাজনৈতিক কেরিয়ার-
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ব্রাহ্মন সমাজের মধ্যে যে সমস্ত নেতারা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্রজেশ। এর আগে লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে সাংসদ হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। প্রথম যোগী সরকারের আমলে মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। এই বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের লখনউয়ের cantt বিধানসভা থেকে লড়াই করেছিলেন। এবং বিপুল ভোটে জয় পান। উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে এমন এক জল্পনা তৈরি হয়, যেখানে বলা হচ্ছিল যোগীর জায়গাতে এবার কোনও ব্রাহ্মণ নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। যদিও সেই জল্পনা সত্যি হয়নি। তবে ব্রজেশ মন্ত্রিসভায় এবার গুরু দায়িত্ব দেওয়াতে খুশি ব্রাহ্মণ সমাজ।
আইন এবং রাজনীতি একই সঙ্গে করেছেন-
ব্রজেশ পাঠক ১৯৬৪ সালের ২৫ জুন জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের হারদই জেলার মাল্লাভ শহরের গঙ্গারাম এলাকাতেই তাঁর জন্ম। উত্তরপ্রদেশে থেকেই পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছেন ব্রজেশ। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশুনা। শুধু পড়াশুনা করা হয়, দীর্ঘদিন আইনজীবী হিসাবেও কাজ করেছেন ব্রজেশ। শুধু পড়াশুনাই নয়, ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেব ব্রজেশ পাঠক। ১৯৮৯ সালে লখনউ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র সঙ্ঘের অন্যতম নেতা হিসাবে নির্বাচিত হন। এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি। একের পর এক রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছে তাঁর।
কংগ্রেস থেকে রাজনৈতিক সফর-
২০০২ সালের প্রথমবার ব্রজেশ পাঠক Mallavan বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু খুবই কম ভোটে হারতে হয় এই নেতাকে। এরপর দলবদল! ২০০৪ সালে বহুজন সমাজ পার্টি থেকে নির্বাচনে নামেন। আর জয় পান। সংসদ হিসাবে কাজ শুরু করেন। BSP টিকিটে এরপর উন্নাও সংসদ আসন থেকেও লড়াই করেছেন এবং সংসদ হয়েছেন। এরপর ২০০৯ সালে বিএসপির হয়েই রাজ্যসভার সাংসদ হন। কিন্তু ২০১৪ সালে উন্নাও আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়াই করতে নেমে হারতে হয় ব্রজেশকে। প্রবল বিজেপি ঝড়ে সামনেই দাঁড়াতে পারেননি তিনি।
২০১৭ সালে বিজেপির টিকিটে বিধানসভায় আসেন-
উত্তরপ্রদেশে হওয়া ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ব্রজেশ পাঠক বিএসপি ছেড়ে দেন। আর বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে লখনউ সেন্ট্রাল বিধানসভা আসন থেকে টিকিট পান। আর সেই ভোটে সমাজবাদী পার্টির প্রভাবশালী নেতা রবিদাসকে বিপুল ভোটে হারান ব্রজেশ। আর এই জয় তাঁকে বিধানসভায় পৌঁছে দেয়। এরপর যোগী সরকারের আইনমন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেন। ব্রজেশ পাঠকের স্ত্রী মায়াবতী সরকারের আমলে বড় পদে ছিলেন।