আঞ্চলিক দলগুলির উত্থান বিজেপির কপালে বড় ভাঁজ ফেলে দিল
২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে যেভাবে বিজেপি শিবির এই উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল তা বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধতাকে ফের একবার জানান দিল।
এর আগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। আবার কয়েকটিতে হেরেও গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে কয়েকমাস আগে হার বিজেপিকে ঝটকা দিলেও দলীয় নেতৃত্ব তা মানতে চায়নি। তবে এবার একসঙ্গে ১০ রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি বিজেপি শিবিরকে ভাবিয়ে তুলবে তা বলাই যায়।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় জয় পেতে কোন রাজ্যকে টার্গেট বিরোধীদের, জানালেন মমতা ]
তবে দুশ্চিন্তা সেটা নিয়ে নয়। আঞ্চলিক শক্তিগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপির পিছনে পড়ে গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরকে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। কর্ণাটকে সবচেয়ে বড় দল হয়েও বিরোধী জোট ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার থেকে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে।
তারপরই এতগুলি রাজ্যের উপনির্বাচনে একসঙ্গে ভরাডুবি বিজেপির হয়েছে শুধুমাত্র আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হয়ে লড়াই করেছে বলেই। বিরোধী ভোগ ভাগ হয়নি। যার ফলে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে। অথবা জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও হারতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন:উপনির্বাচনের ফলের পরই ২০১৯ লোকসভা জয়ের ফর্মুলা বাতলে দিলেন মমতা]
একমাত্র মহারাষ্ট্রের পলঘরে বিজেপি লোকসভা আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া উত্তরাখণ্ডে বিজেপি জিতেছে। এর বাইরে আর কোথাও বিজেপি জিততে পারেনি। নাগাল্যান্ডে এনডিপিপি-র সঙ্গে বিজেপি জোটে রয়েছে। সেখানে এনডিপিপি জিতেছে।
ফলে সবমিলিয়ে ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে যেভাবে বিজেপি শিবির এই উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল তা বিরোধী জোটের ঐক্যবদ্ধতাকে ফের একবার জানান দিল। আগামিদিনে এই ঐক্যবদ্ধ সুর আরও জোরালো হবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।