মহিলাকে নগ্ন করে গ্রাম ঘুরিয়ে মুখে প্রস্রাব, গণধর্ষণও, গ্রেফতার দশ
খাণ্ডোয়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার (মহিলা সেল) সুনীতা রাওয়াকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, পারিবারিক কারণে ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর কিছুদিন ধরে গোলমাল চলছিল। গত ১৩ জুন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁর স্বামী কিছু লোকজনকে নিয়ে চড়াও হয়। হামলাকারীদের দলে স্বামীর বন্ধু ছাড়াও ছিল শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন আত্মীয়। আদিবাসী বধূটি তখন তাঁর নাবালক সন্তানকে খেতে দিচ্ছিলেন। তারা চুলের মুঠি ধরে তাঁকে ঘর থেকে বের করে আনে। শুরু হয় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ। জোর করে কাপড় খুলে তাঁকে নগ্ন করে দেওয়া হয়। ওই অবস্থায় ঘোরানো হয় সারা গ্রাম। অভিযোগ, আর্ত চিৎকার করলেও গ্রামের একজনও বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। প্রচণ্ড গরমে ওই মহিলা যখন 'জল, জল' বলে চিৎকার করছেন, তখন তাঁকে মারতে মারতে মাটি ফেলে দেওয়া হয়। নির্যাতনকারীরা মহিলার নাবালক পুত্রের সামনেই তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয়। তার পর টানতে টানতে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দশজন উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। অত্যাচারের চোটে ওই মহিলা জ্ঞান হারান।
মধ্যপ্রদেশে স্বামীর মদতেই জনসমক্ষে দীর্ঘক্ষণ চলল নারকীয় নির্যাতন
এই বীভৎস খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরি হয়নি। খবর পেয়েই পুলিশ ছুটে আসে। পুলিশ অফিসারদের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন বধূটি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী কৈলাস রুমালিয়া এবং আরও ন'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-জি (গণধর্ষণ), ৩৫৪-বি (কোনও মহিলাকে নগ্ন করার উদ্দেশ্যে জোর করে পোশাক খুলে দেওয়া), ২৯৪ (অশালীন শব্দ ব্যবহার ও কার্য), ৩৩২ (সরকারি কর্মীদের কর্তব্য সম্পাদনে বাধা দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিক আঘাত করা), ৫০৬ (অপরাধমূলক আচরণ) এবং ৩৪ (অভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লোকের একক সংঘবদ্ধ আচরণ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ধর্ষিতাকে ভর্তি করা হয়েছে খাণ্ডোয়া হাসপাতালে। সেখানে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, ওই মহিলা এতটাই ভয় পেয়েছেন, যে কথা পর্যন্ত বলতে পারছেন না। যদিও মহিলার স্বামীর দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। স্ত্রী 'দুশ্চরিত্রা' আর তাই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন গল্প ফেঁদে পরিবারের 'সুনাম' নষ্ট করছেন।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ধর্ষণ, বাংলা থেকে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মমতা