বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই প্রসব মহিলার! সহযাত্রীর তৎপরতা বাঁচল সদ্যজাত
বেঙ্গালুরু যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই প্রসব মহিলার! সহযাত্রীর তৎপরতা বাঁচল সদ্যজাত
দূরপাল্লার ট্রেন বা বিমান, যাত্রাকালে সন্তানপ্রসবের ঘটনা এখন আর বিরল নয়। যার জেরে জরুরি ভিত্তিতে আপদকালীন পরিস্থিতিতে অবতরণও করতে হয়েছে একাধিকবার। বুধবার সন্ধ্যায় এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো বিমানের যাত্রীরা। ইন্ডিগো ৬ই ১২২ বিমানে বুধবার সন্ধ্যা ৭.৪০ নাগাদ এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা যাত্রী। যদিও এখন মা ও সদ্যজাত দুজনেই একেবারে সুস্থ রয়েছে বলে জানাচ্ছে ইন্ডিগো।
সদ্যজাতকে আজীবন বি নিখরচায় বিমান পরিষেবা প্রদানের দাবি নেটিজেন মহলে
এদিকে এদিনই গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে এই বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর তরফে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। সেখানেই ইন্ডিগো জানিয়েছে, " আমাদের ৬ই ১২২ দিল্লি-বিএলআর রুটের বিমানে এক যাত্রী সন্তানপ্রসব করেছেন। ফ্লাইটটি ৭.৪০-এ অবতরণ করেছে। যদিও মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। আমাদের ট্রেনিং দলকে ধন্যবাদ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য।" এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ইন্ডিগোর তরফে পোস্ট করা প্রসূতির ছবি। এদিকে এই চমকপ্রদ ঘটনায় নেটিজেন মহল থেকেও একাধিক দাবি উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই নবজাতককে আজীবনের জন্য নিখরচায় বিমানে চাপার সুবিধা দেওয়ার দাবি জানান। এর জন্য ২০১৭-এর সৌদি আরব থেকে ভারতগামী বিমানে সন্তান প্রসবের ঘটনার প্রসঙ্গও তোলা হয়।
সহযাত্রীর তৎপরতায় বাঁচল প্রাণ
যদিও সূত্রের খবর, ওই মহিলার গর্ভধারণের মাত্র ৩২ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে, ফলে সবদিক বিবেচনা করেই ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ তাঁকে যাতায়াতের অনুমতি দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়কালের আগেই আচমকা সন্তান প্রসব করাতেই বিস্মিত হচ্ছেন সকলে। যদিও সহযাত্রীদের তত্পরতাতেই শেষ পর্যন্ত বড়সড় কোনও বিপত্তি ছাড়া সন্তান প্রসব করেন ওই মহিলা। এদিকে সৌভাগ্যক্রমে ওই প্লেনেই তাদের সহযাত্রী হিসাবে এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন বলে জানা যায়। তিনিও যাথাসম্ভব সাহায্য করেন। একইসাথে ইন্ডিগোর সকল বিমান কর্মীরাও প্রয়োজন মতো সাহায্যের হাত বাড়ান বলে জানা যায়।
নবাগতকে অভ্যর্থনা বিমান কর্মচারীদের
এরপর বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে বিমান অবতরণের পরেই সাবধানে নামিয়ে আনা হয় মা ও সন্তানকে। নবাগতকে অভ্যর্থনা জানান বিমানসেবিকা থেকে গ্রাউন্ডস্টাফ প্রত্যেকেই। ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যায়, বিমান থেকে হুইলচেয়ারে করে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় ওই ভদ্রমহিলাকে। এক কর্মচারী প্ল্যাকার্ড-এর মাধ্যমে বেঙ্গালুরুতে অভিবাদন জানান নবজাতক ও তার জন্মদাত্রী মাকে।
করোনাকালে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে উড়ান পরিষেবা
২০০৯ সালে এয়ারএশিয়া উড়ান সংস্থা একই ঘটনার আধারে এক মালয়েশিয়ার মা ও তাঁর শিশুকে সারাজীবন নিখরচায় বিমানে ওঠার ব্যবস্থা করে দেয়। ফলে বর্তমানে ট্যুইটার-ফেসবুক জুড়ে এই নবজাতকের ফ্রি-টিকিটের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে লকডাউনের আগের সময়ের থেকে বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে ৭০% কম মানুষ যাতায়ত করছেন। যদিও সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই করোনাকালে উড়ান পরিষেবা আস্তে আস্তে ছন্দে ফিরছে বলেই দাবি বিমান কর্মচারীদের।
অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রিজ, জলকামান পুলিসের, কিয়স্কে আগুন দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির