আনন্দীবেনের সিদ্ধান্ত ঘিরে বহু জল্পনা, গেরুয়া দূর্গ গুজরাতে নির্বাচনের মুখে কতটা স্বস্তিতে বিজেপি
ইতিমধ্যেই গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যটেল নির্বাচনে লড়বেন না বলে জানিয়েছেন দলীয় সভাপতিকে।
সামনেই গেরুয়া দূর্গ গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতিতে সেরাজ্য জুড়ে গাঢ় হতে শুরু করেছে রাজনীতির রঙ। কংগ্রেস-বিজেপি সম্মুখ সমরের পাশাপাশি এবার বিজেপি-র মধ্যেও বেশ কিছুটা অন্তর্দ্বন্দ্বের আঁচ মিলছে। ইতিমধ্যেই গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যটেল নির্বাচনে লড়বেন না বলে জানিয়েছেন দলীয় সভাপতিকে। আর তার পর থেকেই নানা জল্পনা তুঙ্গে।
গোটা বিষয়টিতকে গুজরাতে বিজেপি-র বড়সড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ গুজরাতেপাতিদার সম্প্রদায়ের একজন হলেন আনন্দী। আর এই মুহুর্তে পাতিদাররা চটে রয়েছেন গুজরাত বিজেপি-সরকারের ওপর। তাঁদের আন্দোলনে পুলিশি লাটিচার্জের ঘটনার পর থেকেই বিজেপি নিয়ে ক্ষুব্ধ পাতিদাররা। এদিকে আনন্দীবেন প্যটেলকে দিয়ে পাতিদার গোষ্ঠীর ভোটব্যাঙ্ক টানার পরিকল্পনাতে ছিল বিজেপি। শেষমেশ সেই রাস্তায় জল ঢেলেছেন আনন্দী নিজেই।
অন্য একটি সূত্রের দাবি যে, নির্বাচনী লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বার বার বিজেপির উপরতলার নেতৃত্বকে আনন্দী বোঝাতে চেয়েছেন যে তিনি এখনও দলের জন্য কতটা দামী। পাশাপাশি যাতে তাঁকে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফিরিয়ে আনা হয়, তার জন্য়ও ; এই পদক্ষেপ নিয়ে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপ দিতে পারলেন আনন্দী , বলে অনেকেই মনে করছেন।
যদিও আনন্দীবেন প্যটেলের নিজের দাবি, তাঁর বয়সজনিত কারণেই তিনি নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন, তবে অনেকেরই ধারনা , তাঁর সঙ্গে অমিত শাহের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না হওয়ায় এই ভাবে দলের প্রথমসারির নেতৃত্বকে চাপে রাখছেন আনন্দী।