বাদল অধিবেশনের মতই সময়ের আগেই শেষ হয়ে গেল শীতকালীন অধিবেশন
বাদল অধিবেশনের মতই সময়ের আগেই শেষ হয়ে গেল শীতকালীন অধিবেশন
বাদল অধিবেশনের মতই নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে েগল শীতকালীন অধিবেশন। বুধবার অধিবেশন শুরু হতেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। তারপরেই রাজ্যসভা এবং লোকসভা দুই কক্ষের অধিবেশনই অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। মোট ১৮ দিন চলেছে শীতকালীন অধিবেশন।
শেষ হয়ে গেল শীতকালীন অধিবেশন
আর ২৪ তারিখ পর্যন্ত টানা গেল না। তার আগেই শেষ হয়ে গেল শীতকালীন অধিবেশন। বুধবার অধিবেশন শুরুর পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল দুই কক্ষ। বিরোধীরা সরব হয়েছিলেন সাসংদদের সাসপেন্ডের ইস্যুতে। তারপরেই রাজ্যসভার চেয়ার ম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য সাসপেন্ড করে দেন অধিবেশ। একই ভাবে লোকসভাও অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। যার জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন
সাসপেন্ড ডেরেক ওব্রায়েন
গতকাল শেষবেলায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় রাজ্যসভা থেকে। রুলবুক ছুড়ে ফেলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। এর আগে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর দিনেই ১২ জন সাসংদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। তারপরেই শোরগোল পড়ে যায় অধিবেশনে। প্রতিদিনই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলের সাংসদরা। সংসদ ভবনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশেও লাগাতার বিক্ষোভ চলে।
কতদিন চলল অধিবেশন
গত ২৯ নভেম্বর শুরু হয়েছিল শীতকালীন অধিবেশন। প্রথম দিনেই লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিল পাস করায় মোদী সরকার। আবার সেই দিনই বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদ অধিবেশন চলে। মোট ১৮ দিন চলেছে অধিবেশেন। তার মধ্যে বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে মোট ১৮ ঘণ্টা এবং ৪৮ মিনিট নষ্ট হয়েছে অধিবেশনের। বাদল অধিবেশনও নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কোন কোন বিল পাস
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এবার প্রায় সব বিলই পাস করিয়ে নিেয়ছে মোদী সরকার। প্রথম দিনেই লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব। পাস করানো হয়েছে সিবিআই ডিরেক্টরের কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির বিল। পাস হয়েছে নির্বাচন সংশোধনী বিল। অর্থাৎ আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিঙ্কের বিল। সেই সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মেয়েদের বয়স বৃদ্ধির বিলের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও। যদিও বিরোধীদের তুমুল বিরোধিতার কারণে সেটা শেষ পর্যন্ত সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।