প্রথম প্রবাহ শেষ হওয়ার আগেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ!
উৎসবের মরশুমের মধ্যেই দেশ শীতের আমেজে ঢুকে যাবে ধীরে ধীরে। আর সেই আবহে ফের দূষণের চিন্তা বাড়বে। এবং এর জেরেই ফের করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আসন্ন শীতে দূষণের চোখাঙানি বাড়িয়ে দিতে পারে করোনা সংক্রমণের হার।
চিন এবং ইতালিতে করোনা নিয়ে সমীক্ষা
চিন এবং ইতালিতে ইতিমধ্য়েই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, দূষণ বাড়তেই করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত যেখানে দাঁড়িয়ে তাতে প্রথম প্রবাহ শেষ হতে না হতেই শীতের আবহে দ্বিতীয় প্রবাহ আসতে পারে। চিন এবং ইউরোপে করোনা লকডাউনের জন্যে বায়ু দূষণের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছিল। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু সংখ্যা কমবে।
সংক্রমণের কেস আটকানো সম্ভব এভাবে
শুধু তাই নয়, অতিমারীর পরও ভবিষ্যতেও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত যে কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার কেস আটকানো যাবে। এরই মধ্যে ফসলের অবশিষ্ট অংশ বা নাড়া পোড়ানোয় বাড়ছে বায়ু দূষণ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
উত্তর ভারতের দূষণ নিয়ে উদ্বেগ
সুধীর মিশ্র নামে জনৈক ব্যক্তি আইনজীবী মারফত এনিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। সমাধানসূত্র বের করতে ওই তিন রাজ্যে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর আর্জি জানান তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে নাড়া পোড়ানোয় মুমূর্ষু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন তিনি।
করোনায় ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু
করোনায় ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশ জুড়ে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নাড়া পোড়ানো শুরু হয়ে গেছে বলেও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। দিল্লিতে বায়ুর গুণগত মান বরাবরই কেন্দ্রের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরেও দিল্লিতে ফের বাড়ছে বায়ু দূষণ। যানবাহন চলাচল বাড়তেই বাতাসে দূষণের পারদ ঊর্ধ্বমুখী।