কতজন বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপ? একের পর এক বিস্ফোরক 'বিদ্রোহী' বিধায়ক
অনেকে বলেন তাঁর বিজেপি ছাড়া নাকি সময়ের অপেক্ষা! গত কয়েকদিন আগে বিধায়কদের নিয়ে হওয়া একটি বৈঠকে তাঁকে নিয়ে অপমানিত করা হয়। পরিস্থিতি নাকি এতটাই উদ্বেগজনক যে ওই বৈঠক ছেড়ে নাকি বেরিয়ে যান সুদীপ রায় বর্মণ।
অনেকে বলেন তাঁর বিজেপি ছাড়া নাকি সময়ের অপেক্ষা! গত কয়েকদিন আগে বিধায়কদের নিয়ে হওয়া একটি বৈঠকে তাঁকে নিয়ে অপমানিত করা হয়। পরিস্থিতি নাকি এতটাই উদ্বেগজনক যে ওই বৈঠক ছেড়ে নাকি বেরিয়ে যান সুদীপ রায় বর্মণ।
আর এরপর থেকে মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতার তৃণমূলে যোগদান নিয়ে তৈরি হওয়া গুঞ্জন আরও তীব্র হয়েছে।
অনেকে বলছেন ওই বৈঠকে এতটাই অপমানিত হয়েছেন নাকি সুদীপবাবু তিনি প্রায় বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন। আর সেই জল্পনাকে আরও একবার উস্কে দিলেন খোদ সুদীপ রায় বর্মন নিজেই।
ত্রিপুরার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজেপির এই বিদ্রোহী নেতার মন্তব্য, সরকার ঠিক মতো পরিচালিত হচ্ছে না বলে মানুষের মতো ক্ষোভ বাড়ছে। তবে সরাসরি দল ছাড়ছেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুদীপের দাবি, আমার সঙ্গে কারোর যোগাযোগ হয়নি। এমনকি তাঁর সঙে থাকা বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেও তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ হয়নি বলে দাবি বিদ্রোহী বিধায়কের।
তবে তাঁরা এখনও দলে রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। তবে দলে থেকে কেন বিদ্রোহ? ওই সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপ রায় বর্মনের দাবি, দল যাতে সুনির্দিষ্ট ভাবে পরিচালিত হয় সেই কারণে এভাবে কথা বলে। শুধু তাই নয়, সরকার যাতে সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয় সেই কারণে এই কথাগুলি বলা। তবে রাজ্যের বেকারত্ব ইস্যুতে কথা বলাটা যদি কেউ ভেবে নেয় বিদ্রোহী বিধায়ক তাহলে তা ভাবতেই পারে। তবে মানুষের স্বার্থে তা আমি বলব, সুর চড়িয়েছেন সুদীপ।
শুধু তাই নয়, রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই! সেই নিয়েও মুখ খুলে দলের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল এই নেতাকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও মুখ খুলেছেন সুদীপ রায় বর্মণ। রাজ্যজুড়ে বাইক বাহিনীর তাণ্ডব সহ একাধিক ইস্যুতে তাঁর সাফ বক্তব্য, আমরা বন্ধ করব এই সব...। তবে কীভাবে? কাজত তা খোলসা করেননি এই বিধায়ক।
তবে তাঁর মতে বুঝিয়ে শুনিয়ে নাকি এই বাইক বাহিনীদের ঠান্ডা করা হবে। এদিন সাক্ষাৎকারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কার্যত নাম না করে বিপ্লব দেবের সমালোচনা করেছেন সুদীপ। এমনকি সাক্ষাৎকার শেষে কটাক্ষের সুরে নাম না করে বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারিও দিলেন।
তাঁর মতে, সবার তো সমান ভাবে দিন যায় না...গতিটা একটু স্লো করো। আর এহেন বলার পরে কর্মীদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ। তাঁর মতে, একটু রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে পা ফেলা উচিৎ। উল্লেখ্য, বিজেপির এই বিদ্রোহী নেতাকে নিয়ে বগত কয়েক মাস ধরে জল্পনা চলছিল।
একটা সময় তাঁর হাত ধরে সে রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন তৈরি হয়। এরপর মুকুল রায় বিজেপিতে গেলে তিনিও বিজেপি যোগ দেন। অনেকে বলেন সুদীপের চালেই নাকি ত্রিপুরাতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। আর ক্ষমতায় আসার পর বিপ্লবের সঙ্গে সংঘাত আর এরপরেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আর এরপর থেকে তাঁর একের পর এক বিদ্রোহী মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। তবে এই পরিস্থিততিতে নতুন করে মুকুলের ঘর ওয়াপসি হলে তাকে নিয়েও ফের জল্পনা। আর এই জল্পনার মধ্যেই সমস্ত অনুগামীদের নিয়ে সম্প্রতি কলকাতায় আসেন সুদীপ।
গোপনে নাকি একপ্রস্ত তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনাও হয়ে গিয়েছে তাঁর। বিজেপির একটি সূত্র বলছে, পুজোর আগেই নাকি খেলা হবে ত্রিপুরার মাটিতে।