উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী ধনখড়, নিরুত্তাপ কেন তৃণমূল? জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে
উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী ধনখড়, নিরুত্তাপ কেন তৃণমূল? জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে
হঠাৎ করে এক প্রকার চমক দিয়েই উপরাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী করেছে পশ্চিমবঙ্গের বিতর্কিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। কিন্তু এই িনয়ে একটি শব্দও খরচ করতে শোনা যায়নি টিএমসি। এই িনয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি টিএমসির সঙ্গে এই িনয়ে আগে থেকেই বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছিল বিজেপির। এই িনয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈিতক মহলে।
মনোনয়ন জমা দিলেন ধনখড়
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনই উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিলেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। মনোনয়ন জমা দিয়ে ধনখড় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে এত বড় একটা পদের জন্য তিনি তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন। এদিকে ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার েনপথ্যে রয়েছে দেশের কিষাণ সমাজকে খুশি করা। মূলক কিষাণ ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। জাঠ ভোট পেতেই ধনখড়কে এই কথা বলা হয়েছে।
চুপ কেন টিএমসি
উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনখড়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছেন মোদী-শাহরা। কিন্তু টিএমসি কিছুতেই এই িনয়ে একটা শব্দও খরচ করছে না। যাকে বলে মুখে কুলুপ এঁটেছেন টিএমসি। এই িনয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যে জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে টিএমসি সুপ্রিমোর এত বিরোধ। তিিন কেন একটি শব্দও খরচ করলেন না। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সরাসরি বিরোধিতা করতেও দেখা যায়নি টিএমসিকে। তাহলে কী পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত এই িনয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
টিএমসির সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগ
এদিকে বঙ্গে টিএমসি বিরোধীরা বিজেপির সঙ্গে শাসকদলের গোপন আঁতাতের অভিযোগ করেছেন। টিএমসির সঙ্গে বিজেপির যে গোপন আঁতাত রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে জগদীপ ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপদে বিজেপির প্রার্থী করার মধ্যেই। রাজ্যপালের সঙ্গে এতদিন টিএমসির যে বিরোধিতা ছিল সেটা পুরোটাই মেকি বলে দাবি করেছে বামেরা। এই িনয়ে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যদিও বিরোধীরা ইতিমধ্যেই তাঁদের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
ধনখড় থেকে মুক্তি পেতেই কি টিএমসি চুপ
ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা নতুন কিছু নয়। রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপােলর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইন-প্রশাসন িনয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। এমনকী রাজ্যের আমলারা শাসক দলের িনর্দেশ মেনে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিিন। আইন প্রশাসনের অবনতির অভিযোগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নালিশ ঠুকেছেন তিনি। সেই রাজ্যপালের হাত থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো চুপ করে রয়েছে টিএমসি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে বসলে রাজ্যপাল পদ থেকে সরে যাবেন তিনি।