কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অন্ধকারে রাখল পাক সেনা?
কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের খবর যখন পেয়েছিল ভারত ঠিক সেই সময়ই এই বিষয়ে জানতে পারে পাকিস্তানও। ১০ এপ্রিল দুপুর ২টো নাগাদ। তার আগে এবিষয়ে কিছুই জানতেন না নওয়াজ শরিফ
নয়াদিল্লি, ১৫ এপ্রিল : প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের খবর যখন পেয়েছিল ভারত ঠিক সেই সময়ই এই বিষয়ে জানতে পারে পাকিস্তানও। ১০ এপ্রিল দুপুর ২টো নাগাদ।
কুলভূষণ যাদবের বিরুদ্ধে গোপনে সেনা ট্রায়াল চালানো হচ্ছিল যা পাক সরকারের গোচরেও ছিল না।পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিদেশ বিষয়ক উদদেষ্টা সতরাজ আজিজ কুলভূষণকে পাক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজার ঘোষণা পড়ে শোনান। কিন্তু এর বিষয় বিস্তারিত তথ্য তিনি জানতেন না। পাশাপাশি এটাও পরিস্কার আজিজকে পাক সেনা শুধুমাত্র একজন বার্তাবহ হিসাবে ব্যবহার করেছে।
নয়াদিল্লির আধিকারিকদের এক অংশের দাবি, যাদবের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে শরিফকে অন্ধকারের রাখার সম্ভবনা প্রবল। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক বা উন্নত করার যাতে চেষ্টা না করা হয় সেই বার্তাই শরিফকে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানে শরিফ এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাতের পর পাঠানকোট হামলা হয়। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে চাপানোতর শুরু হয়। পাকিস্তানের অসামরিক সরকার তদন্তে সহায়তার আশ্বাস দেয় ভারতকে।
দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ঠা আলোচনায় বসায় দুই দেশের মধ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোয়। কিন্তু অশান্ত কাশ্মীর এবং যাদবের গ্রেফতারি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে দেয়। দুই দেশের সম্পর্কের তিক্ততা এতটাই বাড়তে থাকে যে এখনও সেই সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই।
সেই উত্তজেনার আগুনে ঘি ঢেলেছে পাক আদালতে যাদবের মৃত্যুদণ্ডের সাজা। পাক সেনার তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে কোনও আপোস করা হবে না। ভারতও পাকিস্তানতে হুঁশিয়ার করেছে যদি যাদবকে ফাঁসি দেওয়া হয় তাহলে তা পূর্বপরিকল্পিত খুন বলেই গণ্য করা হবে এবং তার ফল পাকিস্তানকে ভোগ করতে হবে।
যাদবের বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফকে অন্ধকারে রেখে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বার্তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সেনা চায় না ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টাটুকুও তিনি বা তাঁর দল করুক। শরিফ নিজে বারবার যাদবের বিষয়ে সেনা জেনারেলদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও কোনও ফল হয়নি। শরিফকে পরিস্কার ভাষায় এই বিষয় থেকে দুরে থাকতে বলা হয় সেনার তরফে।