অবসরের সময় আসন্ন, কে হচ্ছেন দেশের প্রধান বিচারপতি? মাত্র ৭৪ দিন CJI পদে থাকবেন তিনি
অবসরের সময় আসন্ন, কে হচ্ছেন দেশের প্রধান বিচারপতি? মাত্র ৭৪ দিন CJI পদে থাকবেন তিনি
২৬ অগাস্ট প্রধান বিচাপতি পদে অবসর নিচ্ছেন এনভি রমন্না। তাঁর জায়গায় কে হবেন নতুন দেশের প্রধান বিচারপতি তাই নিয়ে এখনই তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নাম প্রস্তাব করে ফেলেছেন তিিন। জানা যাচ্ছে দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে ইউইউ ললিতের নাম প্রস্তাব করেছেন সিজেআই। যদি তিনি মাত্র ৭৪ দিনই এই পদে থাকতে পারবেন। কারণ নভেম্বরেই চাকরি জীবন থেকে অবসর নেবেন বিচারপতি ইউইউ ললিত।
মাত্র ৭৪ দিনের জন্য প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ইউইউ ললিত। দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নামই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি এনভি রমান্না। ২৬ অগাস্ট তিনি অবসর নিচ্ছেন নিচ্ছেন তিনি। তাই পরবর্তী প্রধানবিচারপতির মনোনয়ন তাঁকেই করে যেতে হবে। গতকালই দেশের পরবর্তী প্রধানবিচারপতি পদের জন্য বিচারপতি ইউইউ ললিতের নাম কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেছেন তিনি।
এদিকে আবার বিচারপচি ইউইউ ললিত যদি প্রধান বিচারপতি পদে বসেন তাহলে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে মাত্র আড়াই মাস। কারণ ৮ নভেম্বর অবসর নেবেন তিনি। ৮ নভেম্বর তিনি ৬৫ বছরে পড়ছেন। এর আগে এসএ ববদের পর প্রধান বিচারপতি পদে বসেছিলেন এনভি রমান্ন। তিনি ১৬ মাস এই পদের দায়িত্ব সামলেছেন।
মাত্র ৭৪ দিন প্রধান বিচারপতি পদে ইউইউ ললিত থাকার পর কে আসবেন এই পদে এই নিয়ে আবার জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, তার পরেই নাম রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তাঁর বাবা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড় দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। টানা সাত বছর তিনি সেই পদ সামলেছেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্টের প্রধানবিচারপতির পদে ছিলেন তিনি।
বর্তমানে বিচারপতি ইউইউ ললিত সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বর্ষিয়ান বিচারপতি। তাঁর বাবা ইউ আর ললিত বিচারপতি দিলেন দিল্লি হাইকোর্টের। ইউইউ ললিত একাধিক গুরুত্ব পূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। তাঁর মধ্য অন্যকম তিনতালাক। যে ৫ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার রায়দান হয়েছিল তার অংশ ছিলেন বিচারপতি ইউইউ ললিত। ১৯৫৭ সালে জন্ম তাঁর। আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৮৩ সালে বম্বে হাইকোর্টে। ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি দিল্লিতে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। টানা দশ বছর সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর বিচারপতি পদে বসেন তিনি।