করোনা মোকাবিলায় ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা মহারাষ্ট্রে, কী কী খোলা থাকছে জেনে নিন
করোনা মোকাবিলায় ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা, কী কী খোলা থাকছে জেনে নিন
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লকডাউন জারি না করলেও জরুির অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। আগামিকাল রাত ৮টা থেকে গোটা রাজ্যে জারি হবে ১৪৪ ধারা। সবরকম জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১ মে সকাল সাতটা পর্যন্ত জারি থাকবে এই কার্ফু। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনা চেন ভাঙতেই এই কড়া নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জারি ১৪৪ ধারা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে জারি করা হল কার্ফু। গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হল রাজ্যে। লকডাউন জারি না হলেও সেই মতোই একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে গোটা রাজ্যে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকছে। তবে বোর্ড পরীক্ষা হবে নির্ধারিত সময়েই বোর্ড পরীক্ষা পিছনোর কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে
কী কী খোলা থাকছে
গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি হচ্ছে আগামিকাল রাত ৮টা থেকে। ১ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি থাকবে সেই কার্ফু। তবে সবরকম জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। সেগুলির উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। স্বাস্থ্য পরিষেবা, ওষুধ, পরিবহণ সংস্থা, পশুপালন, পল্ট্রি, নির্মাণ কাজও চালু থাকবে। মুদির দোকান, সবজির দোকান, ফলের দোকান,ডেয়ারি,দুধের দোকান, বেকারি সব খোলা থাকছে। খোলা থাকবে কোল্ড স্টোরেজ। গণপরিবহণ বাস, ট্রেন, বিমান, ট্যাক্সি, অটো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জরুরি পরিষেবা চালু রাখবে। ই-কমার্স। পণ্য পরিবহণ, জল সরবরাহ, পেট্রোল পাম্প, ইলেকট্রিসিটি, গ্যাস, এটিএম, পোস্টাল সার্ভিস চালু থাকবে।
নির্দেশিকা না মানলে জরিমানা
মহারাষ্ট্রে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ। গোটা দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০,০০০জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২৮,০০০-রও বেশি। রাজ্যে অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই কেন্দ্রের কাছে সেনা সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
রেকর্ড করোনা সংক্রমণ
মহারাষ্ট্রে রেকর্ড করোনা সংক্রমণ। গোটা দেশের মধ্যে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০,০০০জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২৮,০০০-রও বেশি। রাজ্যে অক্সিজেন ও ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই কেন্দ্রের কাছে সেনা সাহায্য চেয়েছেন তিনি।