ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের 'স্টক' সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত রাজ্যগুলিতে কেমন, প্রকাশ্যে তথ্য
দেশের বিভিন্ন অংশে করোনার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেতে রীতিমতো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মানুষকে। বহু জায়গাতেই করোনা ভ্যাকসিনে দ্বিতীয় ডোজ নেই বলে জানানো হচ্ছে। ফলে উপযুক্ত তারিখেও ডোজ পাচ্ছেন না যোগ্য প্রাপকরা। এমন পরিস্থিতিতে করোনার দ্বিতীয় স্রোত থামাতে ভারতে ১ মে থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। রাজস্থান ও পাঞ্জাবের তরফে জানানো হয়েছে ভ্যাকসিনে কমতির কারণে তরা ১ মে থেকেই তৃতীয় দফার ভ্যাকসিনেশন শুরু করতে পারবে না। এদিকে, কর্ণাটক , দিল্লি, তামিলনাড়ু জানিয়েছে ১ মে থেকে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই চালু হবে তাদের রাজ্যের ভ্যাকসিনেশন পর্ব।সেই পরিস্থিতিতে দেশের কোন অংশে ভ্যাকসিন পরিস্থিতি কেমন দেখে নেওয়া যাক।
ভারতের পরিস্থিতি ও ভ্যাকসিন
এদিকে, ভারতে ১৫৫,৩১১,১৪০ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। এরমধ্যে ১৪৪,২৭৬০৭৪ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে গোটা দেশে। এরমধ্যে রাজ্যগুলির কাছে আর ১১,০৩৫,০৬৬ টি ভ্যাকসিন ডোজ রয়েছে। এই তথ্য এসেছে সোমবার সকালের হিসাবে।
মহারাষ্ট্র
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্র করোনার জেরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে। সেখানে ভ্যাকসিন গৃহিত হয়েছে ১৫,৮৬২,৪৭০ টি ডোজের। মহারাষ্ট্রে আপাতত 'স্টক' রয়েছে ১,২১৮,০৮০ টি ডোজের। আরও ৩ লাখ ডোজ আসতে চলেছে।
দিল্লি
দিল্লিতে ৩৪৯০,৭১০ টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেখানে মানুষ ৩,১৬৪ টি ডোজ পেয়েছেন। আরও ৩৫০ টি ডোজ সেখানে প্রশাসনের পাওয়া বাকি। এদিকে, দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ২০ হাজারের ঘরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
ছত্তিশগড়
ছত্তিশগড়ে ৫৯১৬,৫৫০ টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫,৫২২,৬০২ টি ডোজ গৃহিত হয়েছে। আরও ২ লাখ ডোজ সেখানে পাওয়া বাকি রয়েছে প্রশাসনের।
উত্তরপ্রদেশের অঙ্ক
উত্তরপ্রদেশে ১৩,০৯৬,৭৮০ টি ভ্যাকসিন ডোজ সরকারের হাতে এসেছে। তার মধ্যে ১২,৪৩৯,৪৩৮ টি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। আরও ১৪০০,০০০ টি ডোজ আসা বাকি।
কর্ণাটক-পাঞ্জাব
কর্ণাটকে ৯৪৪৭৯০০ টি ডোজ পৌঁছেছে । এর মধ্যে ৯৪৪৭,৯০০টি ডোজই ব্যবসার করা হয়েছে। আরও ৪ লাখ ডোজ আসা বাকি রাজ্যে। এছাড়াও পাঞ্জাবে ৩৩৬৭৭০ টি ডোজ পাঠানো হয়েছে। তারমধ্যে ৩,১৪৯০৪০ টি ডোজ ব্যবহৃত হয়েছে। ৩৫০,০০০টি ডোজ এখনও পাওয়া বাকি রাজ্যের।