রাফাল তো এল, কিন্তু প্রযুক্তি কোথায় গেল! কী এই নয়া অফসেট বিতর্ক?
ফের রাফাল নিয়ে বিতর্ক। বুধবার সংসদে সিএজি-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে চুক্তির শর্ত মেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে এখনও প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করছে না রাফাল নির্মাতা সংস্থা ফ্রান্সের দাসোঁ অ্যাভিয়েশন। চুক্তির শর্ত মেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-কে প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার কথা ফরাসি সংস্থার। তবে ভারতে বিমান চলে এলেও সেই প্রযুক্তি এখনও তুলে দেওয়া হয়নি ভারতের হাতে।
ডিআরডিও কেন চেয়েছিল এই প্রযুক্তি
ডিআরডিও লাইট কমব্যাট বিমানের (কাভেরি) জন্য ইঞ্জিনের বিকাশ করতে চেয়েছিল দেশেই। এর জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে চেয়েছিল রাফালের নির্মাতা দাসোঁর থেকে। তবে এখনও পর্যন্ত রাফাল বিক্রেতা সংস্থা এই প্রযুক্তিটির হস্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
১৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকার অফসেট দেওয়ার কথা
এই চুক্তির আওতায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, ১৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকার অফসেট দেওয়ার কথা ছিল বিক্রেতাদের। তবে কেবল ১১ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা অফসেট দেওয়া হয়েছে। যা প্রতিশ্রুতির মাত্র ৫৯ শতাংশ ছিল। এছাড়াও, বিক্রেতাদের জমা দেওয়া এই অফসেট দাবিগুলির মধ্যে কেবল ৪৮ শতাংশ (৫, ৫৪৫ কোটি টাকা) গৃহণ করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
যা বলে সিএজি
বুধবার সংসদের বাদল অধিবেশনে এই বিষয়ে সিএজি-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, যুদ্ধবিমান বিক্রেতারা তাঁদের পণ্য সরবরাহের জন্য এবং অর্ডার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা এই চুক্তির শর্ত মানতে আগ্রহ দেখাননি। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দাসো অ্যাভিয়েশন এবং এমবিডিএ-এ চুক্তি করেছিল তাঁরা ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তির ৩০ শতাংশ দেবে।'
২০০৫ সাল থেকেই অফসেট নীতি গ্রহণ করে ভারত
বিবৃতিতে সিএজি আরও বলেছে যে ২০০৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিদেশি বিক্রেতাদের সাথে মোট ৬৬ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা পরিমাণের ৪৬টি অফসেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমদানির মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকার উর্ধ্বে থাকা সমস্ত মূলধন প্রতিরক্ষা ক্রয়ের জন্য ভারত ২০০৫ সাল থেকেই অফসেট নীতি গ্রহণ করেছিল।
লক্ষ্যের বহুদূরে
সিএজি জানায়, বিদেশী বিক্রেতার ভারতীয় শিল্পে উচ্চ প্রযুক্তি স্থানান্তরিত করেছে, এমন একটিও ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়নি অডিটে। সুতরাং, অফসেট নীতিমালা গ্রহণের এক দশকেরও বেশি সময় পরেও এর মূল উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে লাদাখে কার্বাইনের অভাব, জরুরি ভিত্তিতে বন্দুকের চাহিদা মিটবে কীভাবে?