পুনের দুই ভিন্ন জাতির মধ্যে কোন সমস্যার জেরে হিংসা ছড়ায়, আজ উত্তাল হয় মুম্বই, জানুন
ভিমা কোরেগাঁওয়ের যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তিতে পুনে শহরে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক লক্ষ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। আর সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই আচমকা হিংসা ছড়াতে থাকে। দলিত ও মারাঠাদের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বড় আকার ধারণ করে। হিংসার জেরে মৃত্যু হয় এক ২৮ বছরের যুবকের। আহত হন ৪০ জন। জানা যায়, ভিমা কোরেগাঁও যুদ্ধের জয়স্তম্ভের আশপাশের পরিবেশ বেশ শান্ত ছিল। তবে, পরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে অশান্তি ছড়াতে থাকে।

[আরও পড়ুন:হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্ত মুম্বই, বন্ধ স্কুল,কলেজ, শান্তির আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর ]
এর আগে, পুনের আশপাশের বহু গ্রামে জাতপাত নিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনা লেগেই থাকত। তবে এবার সেই ঘটনার ঘটনাগুলি এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে আরও উস্কানি পেয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মত পুলিশের। প্রসঙ্গত, ১৮১৮ সালের ১ জানুয়ারির ব্রিটিশ নাম পেশওয়া যুদ্ধে, ব্রিটিশ সৈন্যদের তরফে দলিত সৈন্য়রা পরাস্তকরে মারাঠাশক্তিকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবছরই এই যুদ্ধ জয়ের দিনটিকে পালন করা হয় পুনেতে। এর আগের বছরেও এই দিনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আর এবারের পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে উঠতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, পুনেতে দলিত ও মারাঠি এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলার মূল সূত্রপাত এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে ঘিরে। এলাকায় রাস্তার ধারে টাঙানো এক বোর্ডে এই ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে।
ভিমা কোরেগাঁও থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে একটি বোর্ডে লেখা হয়, মারাঠী যোদ্ধা ছত্রপতি শিবাজীর অন্ত্যেষ্টি করেন দলিত যোদ্ধা গোবিন্দ গোপাল মহর। অন্যদিকে, মারাঠীদের দাবি গোবিন্দ গোপাল মহল নয়, মারাঠি যোদ্ধা শম্ভাজীর হাতেই শিবাজীর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়। এই নিয়েই দুটি ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, গত ৩ দিন ধরে এই ইতিহাস উল্লেখিত বোর্ড টিও খেুলে ফেলা হয়েছে এলাকা থেকে। ফলে পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক তা বোঝাই যাচ্ছে।