মানুষের ভালোবাসাতেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন, উপনির্বাচনের আবহে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য লালুর
মানুষের ভালোবাসাতেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন, উপনির্বাচনের আবহে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য লালুর
জল্পনা চলছিলই। অবশেষে জেল থেকে ফিরেই ফের বিহারের রাজনৈতিক মঞ্চে জাঁকিয়ে বসতে চলেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি (RJD) নেতা লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। জেলে বন্দিদশা ও শারীরিক সমস্যার কারণেই গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও রাজ্যে ফিরতেই ফের রাজনীতির ময়দানে স্বমহিমায় নেমে পড়েছেন তিনি। আগামী ২৭ অক্টোবর থেকেই তিনি উপ-নির্বাচনের প্রচারে অংশ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
মানুষের ভালোবাসাতেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন
এদিকে লালুর প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা ক্রমেই দীর্ঘয়িত হচ্ছিল। যদিও সমস্ত জল্পনা শেষে চলতি সপ্তাহেই একাদিক নতুন চমক দিতে দেখা যায় লালুকে। গতকালই মাথায় সবুজ টুপি, গায়ে আলখাল্লা, পাটনায় ফিরলেন লালু প্রসাদ যাদব। একেবারে তুমুল উল্লাসে তাঁকে বরণ করে নিতে দেখা গিয়েছে অনুগামীরা। তবে লালুর এই কাজ-কারাবারে যে কংগ্রেসের প্রতি বিশেষ বর্তা ছিল তা বুঝতে কারওরই বিশেষ অসুবিধা হয়নি।
আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্বকে ঘিরে টিপ্পনি
আরও সহজ ভাবে বললে আকার-ইঙ্গিতেই আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্বকে ঘিরে টিপ্পনি কাটলেন লালু প্রসাদ। যা নিয়ে গতকাল থেকেই বিস্তর জল্পনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে মানুষের ভালবাসার কারণেই তিনি ফের রাজনীতির ময়দানে ফিরে আসতে পেরেছেন বলে মত আরজেডি প্রধানের। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে লালু বলেন, "অসুস্থতা ও একইসাথে জেলবন্দি থাকার কারণে দুটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি। এখন উপ-নির্বাচন এসেছে। এই সময়টা আর নষ্ট করতে চাইনা। তবে সমর্থক কর্মী ও সর্বোপরি মানুষের ভালোবাসতেই আমি ফিরে আসতে পেরেছি।"
ঠিক হয়ে গিয়েছে প্রচার কর্মসূচী
ইতমধ্যেই তার প্রচার কর্মসূচিও ঠিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শীঘ্রই কুশেশ্বর আস্থান ও তারাপুরে তিনি নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য রাখবেন বলে জানান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে লালুর দুই পুত্র তেজস্বী ও তেজপ্রতাপের সম্পর্কের ফাটল ক্রমেই দুশ্চিন্তার বিষ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল আরজেডি শিবিরের। যদিও এই বিরোধ শীঘ্রই মিটে যাবে বলে আশাবাদী বিহারের এই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। দুই সন্তানের মধ্যে বিরোধ প্রসঙ্গে লালু প্রসাদ যাদবের দাবি, "দুজনের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। দুজনেই আমার সন্তান।"
নীতীশকে তীব্র কটাক্ষ
এদিকে তাঁরই একদা জোট সঙ্গী তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় লালুকে। তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে তিনি বলেন, " এখন নীতীশ কুমারের খুব প্রশংসা করা হচ্ছে। মোদী এমনকী বিজেপি ব্রিগেড ভালোই জানবে, সবাই বলছে নাকি প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত নীতীশ কুমারের। ওর কিন্তু এটাই লোভ রয়েছে।" নীতিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি বিজেপিকে এদিন একহাত নেন লালু।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফের সুখবর মমতার সরকারের, ছটের ছুটির দিন পরিবর্তন