অসমে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী রঞ্জন গগৈ? দেশজোড়া বিতর্কের জবাবে কি বললেন প্রাক্তন বিচারপতি
অসমে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে কি বললেন রঞ্জন গগৈ
ইতিমধ্যেই ২০২১ নির্বাচনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নাম সামনে এনে বিতর্ক উষ্কে দিয়েছেন তরুণ গগৈ। এই প্রসঙ্গে এই কংগ্রেস নেতার তিনি নাকি শুনছেন রাম মন্দির রায়ে উচ্ছসিত বিজেপি উপহার স্বরূপ আসন্ন নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে পারেন রঞ্জন গৈগকে। এদিকে তরুণ গগৈয়ের এই বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে সারাদিন চাপাননৌতর চলে রাজনীতির আঙিনায়। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে দেখা গেল খোদ রঞ্জন গগৈকে।
সত্যিই কি সক্রিয় রাজনীতিতে রঞ্জন গগৈ ?
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলা অযোধ্যা রাম মন্দির মামলার নিষ্পত্তি করেছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির গড়ার পক্ষে রায় দেয়। বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হলেও সক্রিয় রাজনীতিতে আসার তাঁর কোনও ইচ্ছা নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, "আমি রাজনীতিবিদ নই, মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থীও হচ্ছি না।"
নিজেকে ‘বিক্রি’ করে রাম মন্দিরের রায় দিয়েছিলেন রঞ্জন গগৈ
এদিকে অযোধ্যা মামলায় রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দেওয়ার পরেই একধিক ক্ষেত্রে বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি। তাঁর রাজ্যসভার মনোনয়ন ঘিরেও প্রশ্ন ওঠে। এর আগে এই প্রসঙ্গে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে উর্দু কবি মুনাওয়ার রানা বলেন, "অযোধ্যা রায় রামলাল্লার পক্ষে দেওয়ার জন্য 'নিজেকে বিক্রি' করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গগৈ।"
মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে রয়েছে রঞ্জন গগৈয়ের নাম
এদিকে রাম মন্দিরের রায় দেওয়ার পর ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করেছিলেন রঞ্জন গগৈ। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। এদিকে এদিন তরুণ গগৈ সংবাদমাধ্যমে জোরালো দাবি করে বলেন, " আমি আমার সূত্র মারফত জানতে পেরেছি মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে রঞ্জন গগৈয়ের নাম আছে। তিনি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হয়ে যদি রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন তবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবেও তিনি সায় দিতে পারেন। "
পাল্টা দাবি দিয়ে কি বললেন রঞ্জন গগৈ ?
যদিও এই প্রসঙ্গে রঞ্জন গৈগয়ের পাল্টা দাবি, " অনেকে রাজ্যসভা মনোনীত সাংসদ ও কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছেন না। এটা সত্যেই দুর্ভাগ্যজনক। কোনও বিষয়ের উপর নিজের মতামত পেশ করার সুযোগ পেতেই মূলত আমি রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলাম।"
মমতার নতুন অঙ্ক, একুশের লক্ষ্যে ৭০ হাজার বিজোড় বুথে ২০ জন মহিলা টার্গেট