ব্যবসার ক্ষেত্রে পূর্বভারতে প্রথম স্থানে মমতার বাংলা! দরাজ সার্টিফিকেট মোদী সরকারের
প্রকাশিত হল ২০১৯ সালের বাণিজ্যিক সংস্কারমূলক কাজের পরিকল্পনার তালিকা। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হল এই তালিকা। ব়্যাঙ্কিংয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে সবার উপরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এরপরই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানা। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক সংস্কারমূলক কাজের পরিকল্পনার তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
নির্মলা সীতারামন প্রকাশ করেন এই রিপোর্ট
সহজে ব্যবসা করার মানদণ্ডে বাংলার পারফরম্যান্স খুব ভালো বলে মন্তব্য করলেন খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। স্টেট বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান বা বিআরএপি ২০১৯-এর পিপোর্টটি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর প্রকাশিত হয় রিপোর্ট
ব্যবসা করার পরিবেশ কোথায় সবচেয়ে অনুকূল তার নিরিখে ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বের ১৯০ দেশের একটি তুলনামূলক তালিকা ও রিপোর্ট প্রকাশ করে আসছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই রিপোর্টকে ভিত্তি করেই বহু বিদেশি বিনিয়োগকারী কোন দেশে লগ্নি করবেন বা সরে আসবেন সেই সিদ্ধান্ত নেন।
এগোচ্ছে মোদীর ভারত
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ব ব্যাঙ্কের এই 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস' তালিকায় ভারত তড়তড়িয়ে উপরে উঠতে শুরু করে এবং সেই সাফল্য ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মন্ত্রি পরিষদ কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেনি। গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাঙ্কের 'ডুয়িং বিজনেস' রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে ভারত ৬৩ স্থানে উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে ভারত ছিল ১৪২ তম স্থানে।
করোনা আবহে কতটা সঙ্গত এই রিপোর্ট?
তবে ২০১৯-এর এই রিপোর্ট বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কতটা সঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সোমবার ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অতিমারী করোনার জেরে গত ৪০ বছরে সব থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে জিডিপি। আর এর জেরে ভারতের উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নে লেগেছে ধাক্কা।
জিডিপিতে ধস
করোনার ধাক্কায় চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে গত বছরের এপ্রিল-জুন সময়ের চেয়ে ৩১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে প্রবৃদ্ধির হার। এ ছাড়া এই সময়ে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত ৩৯.৩ শতাংশ এবং নির্মাণ খাত ৫০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। বাণিজ্য খাতে সঙ্কোচন দেখা গিয়েছে ৪৭ শতাংশ। বিনিয়োগও কমেছে ৪৭ শতাংশ।