অবাক জল পান, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য জলের ঘণ্টা বাজানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
অবাক জল পান, স্কুল পড়ুয়াদের জন্য জলের ঘণ্টা বাজানোর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
জল পানের জন্য ঘণ্টা! একটি বিভাগের ক্লাস থেকে অন্য বিভাগের ক্লাসকে স্কুলে ঘণ্টার মাধ্যমে ভাগ করা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে ঘণ্টা পড়ে। সেই ঘণ্টা বুঝিয়ে দেয়। নতুন পরিয়ড শুরু হচ্ছে। স্কুলে টিফিনের জন্যও আলাদা ঘণ্টা পড়ে। এবার কর্ণাটকের স্কুলগুলোতে জল পানের জন্য ঘণ্টা বাজানো হবে। স্কুলের শিশুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জল পানে অবহেলা করে। সেই কারণেই নানা ধরনের অসুখের মুখে পড়তে হয় শিশুদের। সেই দিকে নজর দেওয়ার জন্যই কর্ণাটক সরকার স্কুলের পড়ুয়াদের জলপানের জন্য ঘণ্টা বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পড়ুয়ারে জল পানের জন্য বিশেষ ঘণ্টা
স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা মন্ত্রী বিসি নাগেশ ডিএইচকে জানিয়েছেন নতুন করে জল পানের জন্য ঘণ্টা বাজানোর নিয়ম রাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই বিষয়ে তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কর্ণাটকের মন্ত্রী বলেও আগেও রাজ্যের স্কুলগুলোতে এই নিয়ম নিয়ে আসা হয়েছিল।তবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। নতুন করে এই নিয়ম আবার চালু করার সিদ্ধান্ত কর্ণাটক প্রশাসন নিয়েছে।
দিনে তিন বার ঘণ্টা বাজানোর নির্দেশ
বিসি নাগেশ ডিএইচকে জানিয়েছেন, স্কুলে একদিনে তিন বার জল পানের জন্য ঘণ্টা বাজাতেই হবে। সেই সময় প্রতিটি পড়ুয়াকে জলপান করতে হবে। শরীরকে সুস্থ রাখতে জলের বিকল্প কিছু নেই। স্কুলের শিশুদের পক্ষে অনেক সময় জল পানের গুরুত্ব বোঝা সম্ভব হয় না। সেই কারণে স্কুলের শিশুরা অনেক সময় জল পানকে অবহেলা করে। যার জেরে ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা, মুখ-গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। এই বিষয়ে স্কুলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সেই কারণেই শুধুমাত্র জলপানের জন্য ঘণ্টা বাজানোর নিয়ম কর্ণাটক সরকার ফিরিয়ে এনেছে।
পুরনো নিয়ম বাস্তবায়নে কর্ণাটকের মন্ত্রী
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার রাজ্যে কেরালা মডেল বাস্তবায়নের জন্য তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রী সিটি রবির পরামর্শের স্কুলের শিশুদের জল পানের জন্য ঘণ্টা বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরেই করোনা মহামারী দেখা দেয়। যার জেরে প্রায় দুই বছর স্বাভাবিক নিয়মে স্কুল হয়নি। বেশিরভাগ সময় স্কুলের পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাস করেছে। যার জেরে স্কুলে জল পানের জন্য বিশেষ ঘণ্টা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হয়নি।
পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগের জের
কর্ণাটকের শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের জল পানের জন্য প্রথম ঘণ্টা ১০.৩৫ মিনিটে, দ্বিতীয় ঘণ্টা দুপর ১২টায় ও তৃতীয় ঘণ্টা দুপুর ২টায় বাজানো হবে। কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী নাগেশ বলেন, কিছুদিন আগে তিনি রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছু অভিভাবক অভিযোগ করেছিলেন, স্কুলে অনেক সময় জল পান করতে দেওয়া হয় না। আবার কিছু ক্ষেত্রে শিশুরা জল পান চায় না। যার জেরে শিশুদের মধ্যে একাধিক সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। মন্ত্রী বলেন, তারপরেই তিনি জল পানের জন্য ঘণ্টা বাজানোর পুরনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটেন।
কোটি টাকার বেনামী সম্পত্তির হদিশ অনুব্রতের! ফিরহাদের 'বাঘ' মন্তব্যকে হাতিয়ার সিবিআইয়ের