বাকযুদ্ধে দুই বিচ্ছিন্ন গান্ধী বংশধর, বরুণ-প্রিয়াঙ্কা
যদিও দিদি বলে ঢোক গিলে প্রিয়াঙ্কার কথা হজম করার পতে হাঁটেননি ভাই বরুণও। প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যের জবাবে বরুণ বলেন, প্রিয়াঙ্কা নিজের শিষ্টতার সীমা লঙ্ঘন করছেন। কেউ কারোর মর্যাদাহানি করে নিজের মর্যাদা বাড়াতে পারে না তা ওর জানা উচিত।
এটা পরিবাররে চায়ের আসর নয়। এটা আদর্শের লড়াই। গত নির্বাচনে বরুণ নিজের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছিল। আমি তার সঙ্গে সহমত নই। আমি তাদের দৃষ্টিভঙ্গীকে কোনও মতেই সমর্থন করতে পারছি না। আমার পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই এটা। দেশের ঐক্যর জন্য আমার বাবা প্রাণ দিয়েছেন। আমি কারোর জন্যই তাঁকে অসম্মান করতে পারব না। আমার নিজের সন্তানের জন্যও না।
লোকসভা নির্বাচন আদর্শের লড়াই, পারিবারিক চায়ের আসর নয়, মন্তব্য প্রিয়াঙ্কার
সম্প্রতি বরুণ প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কা মন্তব্য করেন, বরুণ পথভ্রষ্ট হয়েছেন। ওঁকে সঠিক দিশায় ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, তাঁর ভদ্রতা ও উদারতাকে যেন তার দূর্বলতা বলে মনে না করা হয় সে কথাও জানিয়ে দেন বরুণ।
বরুণ গান্ধী প্লিভিটের সাংসদ। এবছর তিনি সুলতানপুর থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন। পাশের কেন্দ্র আমেঠী থেকে দাঁড়াচ্ছেন গান্ধী পরিবারের আর এক বংশধর রাহুল গান্ধী। ১২ এপ্রিল আমেঠী থেকে নিজের মনোনয়ন পেশ করেন রাহুল গান্ধী। এইদিনই আমেঠীতে দাদা রাহুলের হয়ে প্রচার করতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বরুণের পথভ্রষ্ট হওয়ার কথা বলেন।
প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেন বরুণের মা তথা বিজেপি নেত্রী মানেকা গান্ধী। তিনি বলেন, যদি বরুণ দেশের সেবা করতে করতে পথভ্রষ্ট হয়েই যায় তাহলে দেশের মানুষই তার সিদ্ধান্ত নেবে। দিদির মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বরুণও। জানিয়ে দেন, আমার পথ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। আমি একজন সাধারণ তরুণ। দাদা রাহুল ও দিদি প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ করে বরুণ বলেন, আমেঠীতে এসে প্রিয়াঙ্কা অফিস বেয়ারাদের সঙ্গে দেখা করে আমেঠীতে রাজনৈতিক বাতারবণ তৈরি করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন যাতে রাহুল গান্ধী জিতে যান।
ভাই-বোনের এই কাজিয়া নজিরবিহীন হলেও তা আদতে ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব ফেলে কি না এখন তাই দেখার।