ডিসেম্বর শেষে করোনায় আক্রান্ত হবেন অর্ধেক ভারতবাসী! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
সারা দেশে চার দফার লকডাউন শেষ। সোমবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার লকডাউন। চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষের দিনে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৮০।
সারা দেশে চার দফার লকডাউন শেষ। সোমবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার লকডাউন। চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষের দিনে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩৮০। দেশের নাম করা ভাইরোলজিস্টদের অন্যতম কর্নাটকের হেলথ টাস্ক ফোর্সের নোডাল অফিসার ভি রবির মতে দেশে এখনও করোনার সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছয়নি।
পঞ্চম দফার লকডাউনের শুরুতে 'উপহার'! ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি
জুন থেকে দেশে বাড়বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
দেশে চতুর্থ দফাল লকডাউনের শেষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। জানিয়েছেন ভি রবি। যা শুরু হবে জুন থেকে। এরপরেই মহল্লা সংক্রমণ শুরু হবে। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন ভারতে মহল্লা সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ডিসেম্বর শেষে অর্ধেক ভারতবাসী আক্রান্ত হবেন
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষে অর্ধেক ভারতবাসী আক্রান্ত হবেন। তবে এর মধ্যে নব্বই শতাংশ জানতেই পারবেন না, তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৫ থেকে ১০ শতাংশের চিকিৎসায় হাই-ফ্লো অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে। আর ৫ শতাংশের জন্য ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্যে বিনিয়োগে আহ্বান
ভি রবি রাজ্যগুলিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তাদের উচিত স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ইনটেনসিভ মেডিক্যাল কেয়ারের প্রয়োজন। করোনার মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে প্রতিটি জেলায় অন্তত দুটি করে কোভিড টেস্টিং ল্যাব খোলার জন্য। দেশের মধ্যে কর্নাটক হল প্রথম রাজ্য যেখানে টেস্টিং ল্যাবের সংখ্যা ৬০-এ পৌঁছে গিয়েছে।
দেশে মৃত্যুর হার
দেশে করোনায় মৃত্যুর হার নিয়ে বলতে গিয়ে ভি রবি বলেছেন, সারা দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ৩-৪ শতাংশ। দেশের মধ্যে গুজরাতে মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি, ৬ শতাংশ। তিনি বলেছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য পরের বছর মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মানুষকে কোভিডকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচার উপায় বের করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।