ফের রক্তাক্ত হাথরস, নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে খুন যৌন নির্যাতন কাণ্ডে জামিনে মুক্ত মূল অভিযুক্তের
গত বছরের এক নৃশংস গণধর্ষণ কাণ্ডের জেরে খবরের শিরোনামে আসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস। যা নিয়ে কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়ে যোগী সরকারের ভূমিকা। এবার নতুন বছরের শুরুতেও এবারও এক শ্লীলতাহানি ও খুনের ঘটনার খবরের শিরোনামে উঠে এল হাথরাস। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পাওয়া এক আসামী গুলি করে খুন করল নির্যাতিতার বাবাকে।
সূত্রের খবর, প্রায় বছর তিনেক আগে ওই নির্যাতিতাকেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সেই সময় নির্যাতিতা ও তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গৌরব শর্মা নামে ওই যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। মাসখানেক জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় সে। পরবর্তীত গোটা মামলা নিয়েই দীর্ঘদিন থেকে টানাপোড়েন চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে।
সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ স্থানীয় একটি মন্দিরের সামনে দুই পরিবারের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। সেই বচসা চরম পর্যায়ে উঠলে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। সেই সময়েই অভিযুক্ত যুবক আচমকা নির্যাতিতার বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানা যাচ্ছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার।
এদিকে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিবাদ করেছেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা। এমনকী উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এমনকী প্রকাশ্যে দিবালোকে অভিযুক্তের আগ্নেয়াস্ত্র ঘোরার ক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।
এদিকে এই ঘটনায় গৌরবের পরিবারের এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গৌরব এবং বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাথরস জেলার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক বিনীত জয়সওয়াল। খোঁজ চলছে গৌরবের একাধিক বন্ধুদেরও। তবে তারা প্রত্যেকেই বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কী টুইটারেও গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। প্রকাশ করা হয়েছে ভিডিও বার্তাও।