বেরিলিতে মোদীর সভায় হাজিরা, তাই তিন তালাক, অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা স্বামীর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগ দেওয়ার তাঁকে তিন তালাক দিয়েছেন তাঁর স্বামী। রবিবার এমনটাই অভিযোগ করলেন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মহিলার স্বামী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগ দেওয়ার তাঁকে তিন তালাক দিয়েছেন তাঁর স্বামী। রবিবার এমনটাই অভিযোগ করলেন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মহিলার স্বামী।
ফায়রা নামে উত্তর প্রদেশের বেরিলির ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিন তালাক বাতিল করতে সংসদে আইন করতে চলেছেন মোদী। তারই সমর্থনে আয়োজিত সভায় হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনা ভাল না লাগায় স্বামী দানিশ তিন তালাক দেন ফায়রাকে। একইসঙ্গে ফাররায় অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর স্বামীর। সেই কারণেই তাঁকে ডিভোর্সের ভয় দেখাতেন দানিশ। ফারয়ার অভিযোগ, দানিশ তাঁকে মারধর করে শিশু সন্তান-সহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
ফায়রার অভিযোগ, বিজেপির সভা থেকে ফেরার পরেই স্বামী দানিশ তাঁর কোন ক্ষতিই করতে পারবেন না। এরপরেই তাকে তিন তালাক দেওয়া হয়। এরপর শিশু সন্তান-সহ তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। মহিলার অভিযোগ, পুলিশ তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি। এরপরেই ফায়রা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নাকভির মেয়ে ফারহাত নাকভির সঙ্গে। ফারহাত তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়রা। দুহাজার ১৬-র এপ্রিলে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দানিশ। ঘটনাটি তিন তালাকের ঘটনা নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত বলে পাল্টা অভিযোাগ করেছেন দানিশ। সেই কারণেই তিনি আলাদা থাকতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পারিবারিক এই ঘটনার সঙ্গে মোদীর সভায় হাজির হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছেন দানিশ।
দানিশের দাবি, তিনি স্ত্রী ফায়রাকে তিন তালাক দেননি। স্ত্রী জিনস পরে। এছাড়াও অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত তাঁর স্ত্রী। সেই জন্যই স্ত্রীকে ডিভোর্স করেছেন তিনি। দাবি করেছেন দানিশ।