কমবয়সীদের অজ্ঞান করে রক্ত লুঠ করত 'খুন চৌষা গ্যাং'! সামনে এল উত্তরপ্রদেশের হাড় হিম করা কাহিনি
উত্তরপ্রদেশের 'খুন চৌষা গ্যাং' সদস্যরা এবার ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
কমবয়সী যুবকদের অজ্ঞান করে শরীর থেকে বের করে নেওয়া হতো রক্ত। তারপর পালিয়ে যেত গ্যাং মেম্বাররা। ঘটনাটি ঘটেছে বাস্তি জেলায়। স্থানীয়রা এই দুর্ধর্ষ দলকে 'খুন চুষওয়া গ্যাং' নামে ডাকছেন। আতঙ্কে ছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে শেষ অবধি পুলিশ হাতেনাতে গোটা দলকে পাকড়াও করেছে।
স্থানীয় প্রশাসন বেশ কয়েকদিন ধরে হন্যে হয়ে গোটা দলকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। সোমবার ৩৩ বছর বয়সী এক অভিযুক্ত আকাশকে দেখা যায় একটি শিশুকে স্থানীয় প্রভাকর সিংয়ের ক্লিনিকে নিয়ে যেতে। সেখানেই শিশুটির দেহ থেকে রক্ত নিচ্ছিল দুজনে। প্রভাকর ও আকাশকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
এই শিশুটিকে অজ্ঞান করে ফেলা হয়েছিল। পরে জানা গিয়েছে, শিশুটিকে লজেন্স খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। পুলিশ সুপার পঙ্কজ সিং জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুজনকেই হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এই আকাশ শিশু ও কমবয়সীদের ধরে অজ্ঞান করে তাদের থেকে রক্ত সংগ্রহ করত। তারপরে তা শিশু বা যুবকের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে দিত।
পুলিশ দুজনকেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৮ ও ৪২০ ধারায় অভিযুক্ত করেছে। এই দলে আরও অনেক সদস্য রয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে জাল বিছিয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রক্ত নেওয়ার পরে সেটা স্থানীয় সঙ্কটবীরনগরের হাসপাতালেও দুষ্কৃতীরা বেচে দিত। নিগৃহীত শিশু বা যুবরা হাতে ৫০০ টাকা পেয়ে বহুদিন চুপ ছিল। কেউই অভিযোগ জানায়নি। তবে সম্প্রতি পুলিশের কাছে গোপনে খবর আসে। তার সূত্রে ধরে তদন্তে নেমেই খুন চৌষা গ্যাং হাতেনাতে পাকড়াও হয়েছে।