'বেঁচে রয়েছেন', শুধুমাত্র এটা প্রমাণ করতে ভোটে দাঁড়িয়েছেন এই ব্যক্তি!
উত্তরপ্রদেশের চৌবেপুর এলাকার চিতৌনি গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবছর ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে জানেন না তাঁর নমিনেশন পত্র আদৌও গৃহীত হবে কিনা। কারণ খাতায়-কলমে তিনি মৃত।
বারাণসী, ১৫ ফেব্রুয়ারি : উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চান একদিনের জন্য। যাতে যে সমস্ত জীবন্ত মানুষদের মৃত তকমা দেওয়া হয়েছে তা দূরে সরিয়ে রেখে তাদের বেঁচে থাকার জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে। এবং সবচেয়ে বড় কথা নিজে বেঁচে রয়েছেন সেটাও প্রমাণ করতে।
মানুষকে বোকা বানাতে, টাকা কামাতে ভোটে দাঁড়িয়েছি, সাফাই ভোটপ্রার্থীর
নিজেই নিজের মাথায় জুতোর ঘা মারলেন সপা প্রার্থী, দেখুন ভিডিও
সন্তোষ মুরত সিংয়ের বাসনা খানিকটা এমনই। উত্তরপ্রদেশের চৌবেপুর এলাকার চিতৌনি গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবছর ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তবে জানেন না তাঁর নমিনেশন পত্র আদৌও গৃহীত হবে কিনা। কারণ খাতায়-কলমে তিনি মৃত। আজ থেকে ১৩-১৪ বছর আগে তিনি মারা গিয়েছেন।
সন্তোষ জানিয়েছেন, ২০০০ সালে অভিনেতা নানা পাটেকর তাঁদের গ্রামে আঁচ সিনেমার শুটিংয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গেই তিনি মুম্বই যান। নানার বাড়িতে রাঁধুনির কাজ করেন। সেখানে থাকাকালীনই এক মহারাষ্ট্রীয় দলিত মেয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
এরপর গ্রামে ফিরলে গ্রামের সমাজ নীচু জাতে বিয়ে হয়েছে বলে সন্তোষকে গ্রাম থেকে বিতারিত করে। পরে ২০০৩ সালে সে জানতে পারে তাঁকে মৃত ঘোষণা করে ১২.৫ একরের পৈতৃক সম্পত্তি তুতো ভাইরা হাতিয়ে নিয়েছে।
সেই থেকে নিজেকে জীবন্ত ঘোষণা করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সন্তোষ। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে তিনি ধরনায় বসেছেন। সেখান থেকে এসে উত্তরপ্রদেশে প্রার্থীপদ জমা করেছেন। এর আগে ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।