ফের সক্রিয় ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া! ফলের আগেই নতুন নতুন দলের সঙ্গে যোগাযোগ
ফের সক্রিয় হয়ে উঠলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। ভোটের ফলের দিনই অর্থাৎ ২৩ মে বিরোধীদের একজোট করতে বৈঠকের ডাক দিলেন।
ফের সক্রিয় হয়ে উঠলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। ভোটের ফলের দিনই অর্থাৎ ২৩ মে বিরোধীদের একজোট করতে বৈঠকের ডাক দিলেন। এনিয়ে তিনি ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনকে চিঠিও দিয়েছেন। কে চন্দ্রশেখর রাও, নবীন পট্টনায়েক এবং জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গেও কংগ্রেস যোগাযোগ করেছে বলে সূত্রের খবর।
২০১৭ সালে কংগ্রেস সভাপতি ভার নিজের ছেলে রাহুলের হাতে দেওয়ার পরও ইউপিএ চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন। বিরোধী জোটকে জোরদার করতে তিনিই উদ্যোগ নিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী স্ট্যালিন ছাড়াও তিনি চিঠি দিয়েছেন, জনতাদল সেকুলার, এনসিপির শারদ পাওয়ার এবং উত্তর প্রদেশের বিরোধী জোটসঙ্গীদের।
এবারের সাধারণ নির্বাচনের প্রচারে সেরকমভাবে সনিয়া গান্ধী অংশ না নিলেও, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু ফলাফল বেরনোর দিন যখনই কাছে আসতে শুরু করেছে, তখন সম্ভাব্য সব সহযোগীকে যাতে একসঙ্গে করা যায় তার জন্য নেমে পড়েছে কংগ্রেস। যদিও অনেক দলই এই মুহুর্তে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে কিংবা কংগ্রেসের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
২৩ মে সম্ভাব্য যে সব রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের নেতা এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে তাদের মধ্যে রয়েছেন, এন চন্দ্রবাবু নাইডু, শারদ পাওয়ার। সূত্রের খবর অনুযায়ী কংগ্রেস তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির কে চন্দ্রশেখর রাও, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগনমোহন রেড্ডির কাছেও পৌঁছে গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কংগ্রেস কোনও ভাবেই গোয়ার পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় না। সব থেকে বড় দল হওয়া সত্ত্বেও সেখানে তারা সরকার তৈরি করতে পারেনি। ছোট ছোট দল এবং নির্দলদের নিয়েই সেখানে সরকার গঠন করে বিজেপি। সেইজন্য এবার সময় নষ্ট করতে চায় না তারা।
যদিও এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী কিংবা অখিলেশ যাদব আদৌ উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।