
প্লেটলেটের বদলে দেওয়া হল ফলের রস, ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুতে সিল উত্তর প্রদেশের হাসপাতাল
উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজে এক ডেঙ্গি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবার চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ নিয়ে এসেছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রক্তের প্লেটলেটের পরিবর্তে ফলের রস ট্রান্সফিউজড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের প্রথামিত তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই বেসরকারি হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে রোগীর পরিবার আবেদন জানিয়েছে।

প্লাজমার বদলে দেওয়া হল ফলের রস
প্রয়াগরাজের গ্লোবাল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে রোগীর আত্মীয়দের প্লাজমার বদলে ফলের রসে ট্রান্সফিজড করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রোগীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, এরপরেই পরিস্থিতির অবনতি হয়। রোগীকে ওই হাসপাতাল থেকে অন্য একটি বেসরকারি হাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীর পরিবারকে জানানো হয়, রোগীকে কোনও প্লেটলেট দেওয়া হয়নি। মোসাম্বির রস বা মিষ্টি জাতীয় কোনও কিছুর রস প্লেটলেটের বদলে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দ্বিতীয় বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।

মৃতের পরিবারের অভিযোগ
হাসপাতালের গাফিলতি প্রকাশ্যে আসতেই রাগে ফেটে পড়ে রোগীর পরিবার। হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তির পরিবার। সৌরভ ত্রিপাঠি নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, আমার ২৬ বছরের বোন হাসপাতালের গাফিলতির জন্য বিধবা হল। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন করছি।

উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন, 'একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। যেখানে একজন ডেঙ্গু রোগীকে প্লেটলেটের পরিবর্তে মিষ্টি লেবুর রস দেওয়া হয়েছিল।আমার নির্দেশে হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং প্লেটলেট প্যাকেটগুলি পাঠানো হয়েছে।যদি দোষী প্রমাণিত হয়, হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' প্রধান মেডিক্যাল অফিসারের নির্দেশে হাসপাতালটি সিল করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এই সিল বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতালের
হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, রোগীর আত্মীয়রাই প্লেটলেট সংগ্রহ করেছিল। হাসপাতালের মালিক জানান, 'রোগীর প্লেটলেটের মাত্রা ১৭ হাজারে নেমে আসে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার স্বজনদের রক্তের প্লাটিলেটের ব্যবস্থা করতে বলা হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রোগীর পরিবার একটি সরকারি হাসপাতাল থেকে পাঁচটি ইউনিট প্লেটলেট এনেছিল। তিনটি ইউনিট স্থানান্তর করার পরে, রোগীর প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। তাই আমরা এটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম।'
অরুণাচলের আপার সিয়াঙে ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার, চলছে উদ্ধারকাজ