সংসদীয় প্যানেলকে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা বিল পরীক্ষা করার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
সংসদীয় প্যানেলকে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা বিল পরীক্ষা করার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
মধ্যযুগ
থেকেই
নানা
রকমের
সামাজিক
বর্বরতার
সাক্ষী
থেকেছে
ভারত।
আর
তার
মধ্যেই
আরও
এক
বিষয়
হল
বাল্য
বিবাহ।
বালিকা
বয়সে
বিয়ের
বোঝা
চাপিয়ে
সব
রকম
সুখ
থেকে
তাদের
দূরে
সরিয়ে
রাখা
হত।
সামাজিক
নিয়মের
আড়ালে
চলত
অকথ্য
অত্যাচার।
আর
সেই
দুঃখ
সঠিক
ভাবে
বুঝেছিলেন
দয়ার
সাগর
ঈশ্বরচন্দ্র
বিদ্যাসাগর।
আর
তাই
তিনি
সতীদাহর
রদের
পাশাপাশি
বাল্য
বিবাহ
ও
বহু
বিবাহ
আটকানোর
জন্যও
সংগ্রাম
করেছিলেন।
কিন্তু
আজও
বহু
ক্ষেত্রেই
সামনে
আসে
কম
বয়সে
নাবালিকা
বিবাহের
ঘটনা।
আর
সেক্ষেত্রে
এবার
কড়া
আইন
প্রণয়নের
পথে
কেন্দ্রীয়
সরকার।
শহরের তুলনায় গ্রামের দিকে এখনো রয়ে গেছে বাল্যবিবাহ। মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স না হওয়ার আগেই তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। অনেক আগেই বাল্যবিবাহ নিষেধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা (সংশোধন) বিলটি পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন একটি সংসদীয় প্যানেলকে। তাঁরা জানিয়েছেন,এই আইনের ফলে শিশুমৃত্যুর হার এবং মায়ের মৃত্যুর হার কতটা রয়েছে দেখতে হবে।
পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বুধে অসম সফরে অভিষেক! ঘর ভাঙার আশঙ্কায় কংগ্রেস
স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহ মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। একটি মেয়ে শারীরিকভাবে সঠিক বয়সের গর্ভবতী হলে শিশু এবং মা দুজনেই অসুস্থ বা মৃত্যুও হতে পারে।
মন্ত্রকের আধিকারিকরা সামগ্রিকভাবে বিলের পক্ষেই কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, বিলটি শিশু মৃত্যুর হার এবং মায়ের মৃত্যুহার, উভয়ই পরীক্ষা করতে সাহায্য করে।
শিশুর ও মায়ের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখার পাশাপাশি এই আইনটি আরো একাধিক বিষয়ের উপর নজর রাখে। লাডো পঞ্চায়েত এবং কৈলাশ সত্যার্থী চিলড্রেনস ফাউন্ডেশনের মতো বেশ কয়েকটি এনজিও সংসদীয় কমিটির সামনে বিলটিকে সমর্থন জানিয়েছ। উইমেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও বিলটিকে সমর্থন করেছে।
২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বিলটি উত্থাপন করেছিলেন।বিলটি আরও যাচাই করার জন্য একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানোর কথা ছিল এবং বলেছিলেন সরকার এই বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। প্রস্তাবিত আইনটি দেশের সকল সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য হবে।