কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অনুমোদন! ছয় লক্ষ নতুন চাকরির সম্ভাবনা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অনুমোদন! ছয় লক্ষ নতুন চাকরির সম্ভাবনা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অনুমোদন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারত বিশ্বে গ্রিন হাইড্রোজেনের হাব হয়ে উঠবে। দেশে প্রতিবছর ৫০ লক্ষ টন গ্রিন হাইড্রোজেন তৈরি হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫০ লক্ষ টন গ্রিন হাইড্রোজেন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫০ লক্ষ টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এক ছাদের তলায় আনতে তৈরি করা হবে গ্রিন হাইড্রোজেন সেন্টার। দেশে ইলেকট্রোলাইজার উৎপাদনের পাঁচ বছরের জন্য উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা রাখা হয়েছে।
তৈরি হবে গ্রিন হাইড্রোজেন হাব
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন দেশে ৬০ থেকে ১০০ গিগাওয়াট ক্ষমতার ইলেকট্রোলাইজার তৈরি করা হবে। ইলেকট্রোলাইজার তৈরি এবং গ্রিন হাইড্রোডেন তৈরির জন্য ১৭৪৯০ কোটি টাকা সাহায্য করা হবে। গ্রিন হাইড্রোজেনের হাব তৈরি করবে ৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ১৯৭৪৪ কোটি টাকার অনুমোদন
অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের জন্য ১৯৭৪৪ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তিনি জানিয়েছেন, এই মিশন থেকে আটলক্ষ কোটি টাকা সরাসরি বিনিয়োগ হবে। এক্ষেত্রে ৬ লক্ষ চাকরি হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমবে প্রায় ৫ কোটি টন।
হিমাচল প্রদেশের জন্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আরও জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশের জন্য ৩৮২ মেগাওয়াটের সুন্নি বাঁধ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১৪ কোটি টাকা। এটি শতদ্রু নদীর ওপরে তৈরি করা হবে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এদিন প্রসার ভারতীর সম্প্রচার পরিকাঠামো এবং বিষয়বস্তুর উন্নয়ন এবং কাজের সম্প্রসারণ এবং আপগ্রেডেশনের জন্য ২৫৩৯.৬১ কোটি টাকার আর্থির সহায়তায় অনুমোদন দিয়েছে।