শিশুদের শিক্ষার স্তর উন্নীত করতে নতুন চ্যানেল চালু করার উদ্যোগ কেন্দ্রের, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
শিশুদের জন্য একটি বিশেষ চ্যানেলের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী
পয়লা ফেব্রুয়ারি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি অনেক বিষয়ের ওপর অনেক ঘোষণা করেছেন। করোনা মহামারিতে প্রায় ২ বছর বিদ্যালয় বন্ধ। শিশু শিক্ষা পাচ্ছে অনলাইনে পড়াশুনা করে। তাই পড়াশুনাকে আরও সহজ করতে কেন্দ্র সরকার নতুন উদ্যোগ নিয়েছেন। শিশুদের জন্য একটি বিশেষ চ্যানেলের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই চ্যানেল তৈরি বিশেষত তপশিলি শিশুদের জন্য। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লাভবান হবেন শিশু পড়ুয়া।
অর্থমন্ত্রী কী জানলেন
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পিএমই বিদ্যা চালু হচ্ছে দেশে। The 'One Class One TV Channel' চালু হচ্ছে পড়ুয়ারাদের জন্য। যেখানে ১ থেকে ১২ ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা সাহায্যও পাবে। এই স্কিমে মোট ২০০ টি টিভি চ্যানেল থাকবে। প্রত্যেক রাজ্য স্থানীয় ভাষায় প্রথম থেকে ১২ শ্রেণির জন্য সম্প্রচার করতে পারবে। অনেক গুলি উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পে মাত্র ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চ্যানেল গুলিতে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা দান করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম ই বিদ্যা নিয়ে কর্মকর্তা কী জানালেন
পিএম ই-বিদ্যার জন্য নিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, শিক্ষামূলক টিভি চ্যানেলের ভাবনা খুব ভালো ভাবনা। এতে ১ থেকে ১২ পর্যন্ত ক্লাসের পড়ুয়ারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু এই চ্যানেল চালুর জন্য একটি বড় পরিমাণ তহবিলের দরকার।
আরও এক আধিকারিকের মতে পিএম ই বিদ্যা কী
এবিষয়ে আরও একজন কর্মকর্তা জানান, মাত্র ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই শিক্ষামূলক চ্যানেলের জন্য। কিন্তু এতে কিছু ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে ব্যয়ের একটি তালিকা চাইবে। পিএম ই-বিদ্যা চালু করতে আরও কিছু তহবিলের দরকার। তাহলে আরও ভালো করে এর উদ্যোগ নেওয়া যাবে।
ছাত্র-ছাত্রীরা খুব উপকৃত হবেন
এই পিএম ই-বিদ্যা ডিজিটাল, অনলাইন, অনএয়ার শিক্ষার সাথে মাল্টি-মোড অ্যাক্সেস করতে ডিজিটাল ডিভাইসের সাথে যুক্ত করা হবে। এই স্কিমের মাধ্যমে পড়ুয়ারা ডিজিটাল শিক্ষায় অ্যাক্সেস করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা খুব উপকৃত হবেন।
শিক্ষার ক্ষতি পূরণ হবে
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশে যে শিক্ষার কথা বলেছেন তাতে অনেক বেশি সংখ্যক পড়ুয়ার সুবিধা হবে। কারণ দুই বছর ধরে করোনা মহামারির জন্য পড়ুয়াদের শিক্ষার বিষয়ে অনেক ব্যাঘ্যাত ঘটেছে। এবার হয়তো সেই ক্ষতি পূরণ হবে।