মেঘালয়ের বেকারত্বের প্রতিবাদী মিছিলকে ঘিরে রণক্ষেত্র, পুলিশ-বিক্ষোভকারী খণ্ডযুদ্ধ
কর্মসংস্থান হচ্ছে না, বেকারত্ব বাড়ছে। বেকাররা একটা চাকরির আশায় হাহাকার করছেন। এই ছবি সারা দেশজুড়েই চলছে। ফলে উত্তার ছড়াচ্ছে সারা দেশেই।
কর্মসংস্থান হচ্ছে না, বেকারত্ব বাড়ছে। বেকাররা একটা চাকরির আশায় হাহাকার করছেন। এই ছবি সারা দেশজুড়েই চলছে। ফলে উত্তার ছড়াচ্ছে সারা দেশেই। এরই মধ্যে বেকারত্বের প্রতিবাদে মিছিল এবার হিংসাত্মক রূপ নিল উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে। মেঘালয়ে বিজেপির বন্ধুদল ক্ষমতায়। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাসনামলে শিলংয়ে বেকারত্ব নিয়ে মিছিল অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
শুক্রবার মেঘালয়ের শিলংয়ে কর্মহীন বেকাররা এক সমাবেশের ডাক দেন। তাঁরা সরকারের কর্মসংস্থানের নীতির প্রতিবাদে মিছিলে শামিল হন। বেকারদের সমাবেশ এতটাই ব্যাপক আকার নিয়েছিল যে তাকে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। ফলে এই মিছিল খণ্ডযুদ্ধের চেহারা নেয়। এই ঘটনায় আহত হন অনেক চাকরিপ্রার্থী তথা বিক্ষোভকারীরাও। বহু সাধারণ মানুষও আহত হন।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ এমনই পরিস্থিতিতে পৌঁছয় যে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে আগুন জ্বলতে শুরু করে। বেশ কিছু যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয়। যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। জখম হয়েছেন পুলিশকর্মীও। রণক্ষেত্র শিলংয়ে হিংসার ঘটনায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমনিতেই মিছিল হওয়ার কারণে যানবাহন অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর উত্তাপ ছড়িযে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। তার জেরে দীর্ঘক্ষণ সমাবশের রাস্তায় যান চলাচল করতে পারেনি।
শুধু যানবাহনই নয়, হিংসার ব্যাপ্তি এতটাই ছিল যে এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হয়। ব্যবসা বন্ধ করে দোকানদাররা পালিয়ে যান। ফলে ব্যবসার সমূহ ক্ষতিও হয়। কিন্তু কেন এমন হিংসাত্মক হয়ে উঠল মেঘালয়ের শিলংয়ে এই বেকারত্বের প্রতিবাদ নিয়ে ব়্যালি। বিক্ষোভকারী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
মেঘালয়ের শিলংয়ে বেকারত্বের বিরুদ্ধে সমাবেশ হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল। এই মিছিলটি সংগঠিত করেছিল ফেডারেশন অফ খাসি জয়ন্তিয়া অ্যান্ড গারো পিপলস। তাঁদের সংগঠতিত বেকারতচ্বের মিছিল আটকায় পুলিশ। তারপরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে রুখে দাঁড়ান বিক্ষোভকারীরা। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে। এই মিছিলটি শুরু হয়েছিল শিলংয়ের মটফ্রান থেকে। সিলংয়ের লাইতুমখরায় ফায়ার ব্রিগেড গ্রাউন্ডে যাওয়ার পথে পুলিশ আটকায়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে যাচ্ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্যছিল সমাবেশে যোগদান করা। পুলিশ তাঁদের সমাবেশ আটকাতে মিছিলে বাধা দেয়। আসলে পুলিশ তাঁদের সমাবেশ ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল। তাই এই পরিকল্পনা। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পথচারীদের উপর চড়াও হয়। তারই জেরে উত্তেজনার তৈরি হয়েছিল।