হায়দরাবাদের দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা, দুই মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ
দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সংখ্যালঘু দুই মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হায়দরাবাদের একটি পুজা প্যান্ডেলে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর তা নিয়েই সে রাজ্যে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ম
দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় সংখ্যালঘু দুই মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হায়দরাবাদের একটি পুজা প্যান্ডেলে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর তা নিয়েই সে রাজ্যে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও ঘটনার পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল জোনের ডিএসপি রাজেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকালে দুই সংখ্যালঘু মহিলা খয়রাতাবাদে অবস্থিত একটি প্যান্ডেলে ঢোকে। তাঁদের পরণে বোরখা ছিল। আর সেই পুজো প্যান্ডেলে মা দুর্গা প্রতিমার একাংশ ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনার পরেই দুই মহিলাকে স্থানীয় লোকজন ধরে ফেলার চেষ্টা করে।
কিন্ত্য তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মহিলা হওয়ার কারণে স্থানীয় মানুষজন সেভাবে ধরতে পারিনি বলেই দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের। যদিও পরবর্তীকালে অভিযুক্ত ওই দুজন মহিলাকে আটক করে স্থানীয় মানুষজন। এবং অভিযুক্তদের স্থানীয় সায়দাবাদ থানায় তুলে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন এমন ভাবে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করল তাঁরা তা জানার চেষ্টা স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা করছেন বলেও স্থানীয় প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। তবে ধৃত ওই দুই মহিলার ব্যবহার মোটেই স্বাভাবিক নয় বলেই জানাচ্ছে পুলিশ। তাঁদের কি কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছিল? সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এই ঘটনার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্কে সে রাজ্যের পুজো উদ্যোগক্তারা। যদিও পুলিশের তরফে কড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি প্যান্ডেলগুলিতেও কড়া সুরক্ষা থাকছে বলেই খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, আজ দ্বিতীয়া। দেশজূড়ে উৎসবের মেজাজ। একদিকে নবরাত্রী অন্যদিকে দুর্গাপুজো দেশের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়েছে পুজো। প্যান্ডেল প্যান্ডেলে পৌঁছে গিয়েছে প্রতিমা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাংলা বাদে ভিন রাজ্যে দুর্গাপুজো একটা আবেগ। বহু মানুষ জোড়ো হন। চারদিন ধরে চলে আড্ডা-খাওয়াদাওয়া।
অন্যান্য রাজ্যের মতো হায়দ্রাবাদের অনেক জায়গায় দুর্গা প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে প্রচুর সংখ্যায় হিন্দু ধর্মালম্বি মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে আসেন। মহা করেন পুজোয় মেতে ওঠেন। কিন্তু পুজোর আগেই এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে রীতিমত ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অশান্তি তৈরি করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের। যদিও বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।
'ব্যতিক্রমী' নিয়োগ বাতিল করতেও প্রস্তুত! আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি নিয়ে বড় মন্তব্য ব্রাত্যের